বরিশালে তিন সার্জেন্টের পৈত্রিক সম্পত্তি দখল করে ঘর উত্তোলণ

স্টাফ রিপোর্টার, বরিশাল ॥ জেলার বানারীপাড়া উপজেলার সলিয়াবাকপুর ইউনিয়নের মাদারকাঠি গ্রামে রাতের আধাঁরে বিমান বাহিনীর ফ্লাইট সার্জেন্ট (অব.) এইচএম মকবুল আহম্মেদ, সার্জেন্ট মাইনুল ইসলাম ও সেনাবাহিনীর সার্জেন্ট জাকির হোসেনের পৈত্রিক সম্পত্তি দখল করে রাতের আধাঁরে ঘর উত্তোলণ করে জবর দখল করেছেন প্রতিপক্ষের লোকজনে।

 

এ ব্যাপারে ওই তিন সার্জেন্টের ভাই কবির হোসেন, ১৫ জনকে আসামি করে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। আসামিরা হলো-সলিয়াবাকপুর ইউনিয়নের মাদারকাঠি গ্রামের সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তার ভাই সৈয়দ নুরুল হক ও সৈয়দ নুরুল ইসলাম, চাচা সৈয়দ জাহাঙ্গির, সৈয়দ হানিফ, মোঃ সেলিম, নুরুল হকের স্ত্রী স্থানীয় সংরক্ষিত নারী ইউপি সদস্য শাহিনুর বেগম ও চাচি আলেয়া বেগম এবং শেফালী বেগম।

 

বৃহস্পতিবার দুপুরে অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, মাদারকাঠি গ্রামের মৃত হাজী আতাহার আলী ডিক্রিমূল্যে ৬২ শতক সম্পত্তির মালিক হয়ে গত প্রায় ৪০ বছর ধরে ভোগ দখল করে আসছেন। ওই সম্পত্তিতে তার পুত্র কবির হোসেনের পান বরজসহ বিভিন্ন গাছপালা রয়েছে। একই সম্পত্তির ক্রয় সূত্রে মালিক দাবীদার পার্শ্ববর্তী সৈয়দ নজরুল ইসলাম গংদের সাথে দীর্ঘদিন ধরে হাজী আতাহার আলী ও তার পুত্রদের সাথে বিরোধ চলে আসছে।

 

এ নিয়ে একাধিকবার স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ শালিস মীমাংসার বৈঠক করেও দু’পক্ষের মাঝে দ্বন্ধ মেটাতে ব্যর্থ হন। পরে এ ব্যপারে বরিশাল সহকারী জজ আদালতে মামলা দায়ের করা হলে আদালত হাজী আতাহার আলীদের পক্ষে ওই সম্পত্তির প্রকৃত মালিকানার রায় ঘোষনা করেন। ২০০৪ সালে ওই রায়ের বিপক্ষে সৈয়দ নজরুল ইসলাম গং আপিল করেন। যা গত ১৫ বছর ধরে চলমান রয়েছে।

 

এরইমধ্যে সোমবার গভীর রাতে সৈয়দ নজরুল ইসলাম ও তার ভাইয়ের স্ত্রী স্থানীয় সংরক্ষিত নারী ইউপি সদস্য শাহিনুর বেগমের নেতৃত্বে ৪০/৫০জনে পানের বরজ বিনষ্ট করে ছোট আকারের একটি ঘর উত্তোলন করে ওই সম্পত্তি জবর দখল করে নেয়।

 

এ ব্যাপারে বানারীপাড়া থানার ওসি খলিলুর রহমান বলেন, প্রাথমিকভাবে নারী ইউপি সদস্য শাহিনুর বেগমকে অবৈধভাবে নির্মিত ঘরটি সরিয়ে নিতে বলা হয়েছে। নতুবা আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। সৈয়দ নজরুল ইসলাম গং দাবি করেন ওই সম্পত্তি তারা সাব কবলা মূলে ক্রয় করেছেন। তবে কবির হোসেন গংরা জানান, তার পিতা হাজী আতাহার আলী ৪০ বছর পূর্বে ওই সম্পত্তি ডিক্রী মূলে মালিক হয়ে ভোগ দখল করে আসছেন। নজরুল ইসলাম গংরা ভূয়া কাগজপত্রের মাধ্যমে ওই জমি ভোগদখলের চেষ্ঠা করছেন।

Share.

Leave A Reply

Exit mobile version