বরিশাল জেলার উজিরপুর উপজেলার হারতা ইউনিয়ন পূর্ব হায়তায় ৫ জুলাই (মঙ্গলবার) বেলা ১১ টার দিকে স্থানীয় মিথুন হালদার (২৩), পিতা. মনিন্দ্র হালদার এর স্ত্রী রাত্রি মন্ডল(১৭) শশুর বাড়ি থেকে বিষ পানের কথা বলে গুরুত্বর অসুস্থ অবস্থায় প্রাথমিক ভাবে হারতা বাজার রায় মেডিকেল হলে নেওয়া হয়, পরে রোগীর অবস্থা বেগতিক দেখে উজিরপুর উপজেলা হাসপাতালে এবং সেখান থেকে বরিশাল শেবাচিমে নেওয়া হয় এবং অবস্থা ক্রমে অবনতি হয়ে আনুমানিক বেলা সাড়ে ৪ টার দিকে গৃহবধূ রাত্রির মৃত্যু হয় বলে জানা যায়। রাত্রি মন্ডল একই গ্রামের সুভাষ মন্ডল এর মেয়ে। এব্যপারে মৃত. রাত্রি মন্ডল এর আপন চাচা শংঙ্কর মন্ডল (৪২), পিতা. হরেণ মন্ডল, সাং. পূর্ব হারতা, এর কাছ থেকে জানা যায়, “৫ জুলাই সকাল ১০-১১ টার দিকে আমি বাড়িতে কাজ করি, তখন লোকজনের কাছ থেকে শুনতে পাই, আমার ভাইয়ে মেয়ে রাত্রি নাকি বিষ খাইছে, একথা শুনে ঐ অবস্থায় সাথে সাথে ছুটে যাই, জামাই মিথুন ও তার বাবা মনিন্দ্র হালদার, সঠিক কি হইছে তা না বলে, আমতা আমতা করে।
তখন জানতে চাইলে মিথুন এর বাবা মনিন্দ্র বলেন, গতকাল রাতে ছেলে আর বৌয়ের সাথে একটু ঝগড়া হইছে তাই বউ বিষ খাইছে।” রাত্রির স্বামী ও শশুর বাড়ি সকলে এ মৃত্যুকে স্বভাবিক মৃত্যু বলে মোষ্টমডাম করতে বাধা দিচ্ছে, দ্রুত লাশ বাড়িতে নিয়ে সৎকার দিতে তোড়জোড় করছে। এসব দেখে ও তাদের কথা শুনে হজবড়ল মনে হলে, তাদের বাঞ্ছন ভঙ্গি ও আলাপচারীতা দেখে গৃহবধূ মৃত. রাত্রি’র পরিবারের মৃত্যু নিয়ে সন্দেহ হয়। তাই রাত্রির পরিবার লাশ হাসপাতাল থেকে লাশ গ্রহণ না করে লাশ পোস্টমডাম করতে দাবি জানায়। এব্যপারে ৬ জুলাই বুধবার গৃহবধূ মৃত. রাত্রির আপন ভাই শুভ মন্ডল(২১) উজিরপুর মডেল থানায় এ মৃত্যুতে সন্দেহ ভাজন মনে হলে পোস্টমডাম করতে লিখিত অভিযোগ করেন। গৃহবধু মৃত. রাত্রির ভাইয়ের থানায় লিখিত দেয়ার বিষয়টি স্বীকার করেন উজিরপুর মডেল থানা সহকারী পুলিশ পরিদর্শক কমল চন্দ দে। তিনি আরো জানান আগামীকাল পোস্টমডাম করা হবে তদন্ত সাপেক্ষ পরবর্তীতে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে জানান তিনি।