সারা দেশ ব্যাপি যখন প্রধানমন্ত্রী ,জননেত্রী শেষ হাসিনা মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে উপহার হিসাবে আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘর বিনা মূল্যে ভূমিহীদের মাঝে বিতরণ করেন। ঠিক তখনই ঘর উত্তলণে অনিয়ম নিয়ে বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় একের পর এক সংবাদ প্রকাশ হয় । বরিশালে বিভিন্ন জেলায় আশ্রয়ণ প্রকল্পের উত্তলণ করা ঘরের নিচে বালু সড়ে ঘর ভেঙ্গে পরে যায়। সেই সংবাদ নিয়ে সবাই যখন সমলোচনার রশি ধরে টানছেন। ঠিক তখনই এক ব্যাক্তিক্রমী উদ্যােগ নিলেন বরিশাল সদর উপজেলার ১৮৬ উপকারভোগী পরিবার । শুক্রবার ১৬ই জুলাই আছরবাদ বরিশাল সদর উপজেলার আশ্রয়ন প্রকল্প-২ এর ১৮৬ উপকারভোগী পরিবারের উদ্যাগে দোয়া ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয় । উক্ত দোয়া ও মোনাজাতে উপস্থিত ছিলেন, বরিশালের সদর উপজেলার সহকারী ভূমি কমিশনার নিশাত তামান্না,সদর উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান এ্যাডঃমাহাবুবুর রহমান মধু, প্রকল্প ইন্জিনিয়ার জহিরুল ইসলাম ,কেন্দ্রীয় ছাএলীগের সহ- সম্পাদক নিক্সন সজীব,চরমোনাই ইউনিয়নের অসহায় মানুষের বন্ধু ,বাংলাদেশ ইসলামী আন্দোলনের নেতা মামুন এছাড়াও উপস্হিত ছিলেন সিনিয়র সাংবাদিক সহ সমাজের গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ। এসময় বরিশালের সদর উপজেলার সহকারী ভূমি কমিশনার নিশাত তামান্না তিনি বলেন, আপনারা সকলে মিলে মিশে থাকবেন । আপনারা সবাই একটি পরিবার ।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনাদের জন্য এই আশ্রয়ন প্রকল্প-২ সদর উপজেলা ঘর উত্তলণ করে দিয়েছেন। আপনাদের পায়ের তলার মাটি শক্ত করে দিয়েছেন। কেউ এখানে কোন রকম পরিবেশ নষ্ট করার চেষ্টা করবেন না। যদি কোন অভিযোগ পাওয়া যায় তবে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। কারন যে সরকার আপনাকে দলিল করে ঘর ও জমির মালিক বানিয়েছেন,সেই সরকারই আবার আপনার ঘরের দলিল বাদ দিতে পারবে। তিনি আরো বলেন, আপনাদের যদি ঘরের কোন কাজ বাকি থাকে সেই বিষয় বরিশাল সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার স্যার বা আমাকে বলবেন আমরা সেটা আপনাদের সংস্কার ও সমাধান করে দিবো এবং আপনারা সকল ধরনের সুবিধা পাবেন। অপরদিকে বরিশালের সদর উপজেলার আশ্রয়ণ প্রকল্প -২, এর উপকারভোগীরা ইতি মধ্যে ঘরে বসবাস করা শুরু করেছেন।
তারা বিভিন্ন র্ধমের মানুষ সকলে এক হয়েছে এ দোয়ার আয়োজন করেন। তাদের এই দোয়া মানাজাত আয়োজকে ব্যাক্তিক্রমি উদ্যাগে বলে সাধুবাদ জানিয়েছেন বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তারা। এদিকে সদর উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান এ্যাডঃমাহাবুবুর রহমান মধু তিনি বলেন, মুজিববর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী এক লাখ ৬ হাজার ঘর উপহার দিয়েছেন। এর মধ্যে ৩০০ ঘরে ত্রুটি থাকলেও পুরো প্রকল্পকে বিতর্কিত করে আওয়ামী লীগ সরকারবিরোধী প্রচারণা চলছে সামাজিক মাধ্যমে। তিনি বলেন, লক্ষাধিক ঘরের ৩০০ টিতে ত্রুটি থাকা মানে যে বড় দুর্নীতি বা অনিয়ম হয়েছে, সেটি বলা যাচ্ছে। হিসেব করলে এর পার্সেন্টিস শতকরা ০.২৫ শতাংশ। কিন্তু সেই হিসেবে কেউ না করে সরকার ও প্রশাসনকে ঢালাও ভাবে দোষারোপ করাসহ অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। এই আওয়ামী লীগ নেতা আরও বলেন- অপপ্রচারকারী চক্র চাইছে এই প্রকল্পকে বিতর্কিত করে সরকার ও মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তাদের সাথে একটি গন্ডগোল পাকিয়ে ফায়দা লুটতে। মিডিয়াকর্মীদের উদ্দেশ করে মধু বলেন- এক সাথে এতগুলো ঘর তৈরি করলে কিছুতে কমবেশি ত্রুটি থাকতে পারে, কিন্তু এটিকে ইতিবাচক হিসেবে নিতে হবে এবং যারা এনিয়ে অপপ্রচার চালাচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে হবে।