দেশের প্রত্যেকটি শহর থেকে শুরুকরে গ্রামগঞ্জে শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষের হাতে হাতে দেখা যায় এ্যান্ড্রয়েড বা স্মার্টফোন। এসব স্মার্ট ফোন সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করা হয়। কিন্তু সেটিই হওয়ার কথা ছিলো, উন্নত প্রযুক্তির এ ফোন ভালো কাজের জন্য ব্যবহৃত হবে। কিন্তু অন্য দিক দেখা দিয়েছে তার বিপরীত।সারা দেশে দেখা যায় স্মার্টফোনটির মাধ্যমে ধংস হচ্ছে হাজার হাজার কিশোর কিশোরি। আসক্ত করা হচ্ছে পাবজি,ফ্রিফায়ারের মতো অনেক অনলাইন গেমস দিয়ে। আবার অসাধু শ্রেণির লোকেরা স্মার্টফোনের অপব্যবহার করে জুয়ার আসরও বসাতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন।এসব এ্যান্ড্রয়েড মোবাইলফোন আবিস্কারের ফলে যতোটা সুবিধা হয়েছে ঠিক ততোটা অসুবিধাও বয়ে এনেছে।
বর্তমান সময়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কোমলমতি শিক্ষার্থীদের হাতে হাতে এখন এ্যান্ড্রয়েড বা স্মাটফোন। এ সকল ফোনে বিভিন্ন সফটওয়ার এ্যাপস এর সাহায্যে নানা ধরনের শিক্ষামূলক বিভিন্ন কাজ করা যায়। সম্প্রতি পাবজি,ফ্রিফায়ার,লুডু নামের বিভিন্ন এ্যাপস এসেছে বাজারে, এটি খুব অল্প সময়ে অনেক বেশি পরিচিতি লাভ করেছে।
এ লুডু কাগজের তৈরি লুডুর মতো সহজেই খেলা যায় বলে শিক্ষার্থীরা লুডু এ্যাপসটি ইনস্টল করে খেলতে পারে। সহজলভ্য আর সহপাঠি নিয়ে খেলা যায় বলে বাজীতে আকৃষ্ট হচ্ছে অনেকে। নাম বলতে অনিচ্ছুক এক শিক্ষক বলেন, দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীরা ঘরবন্দী হয়ে গেছে এবং মোবাইলে আসক্ত হয়ে পরে এ ধরনের ডিজিটাল জুয়ার আসরে ঢুকে পড়ছে। স্কুল চলাকালীন সময়ে দেখাতাম ক্লাসের ফাঁকে শিক্ষিকারা একটু সময় পেলেই শিক্ষকদের চোখ ফাঁকি দিয়ে শিক্ষার্থীরা এই লুডু খেলায় মেতে ওঠে।
আরো বলেন,অনলাইন গেমস গুলো বেশিরভাগ কিশোর কিশোরীদের আসক্ত করছে।যারা ভবিষ্যত প্রজন্ম তাদের মেধাকে এভাবে শেষ করে দেয়া উচিত না। এগুলোর দিকে দেশের প্রশাসনের নজর দেয়া দরকার।পাশাপাশি সকল বাবা-মা সচেতন হওয়া উচিত।
এ নেশায় শুধু শিক্ষার্থীরাই আসক্ত নয়,দেশের গ্রাম গঞ্জের বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষেরাও দিনদিন আসক্ত হয়ে পড়েছে পাবজি,ফ্রিফায়ার,লুডু এ্যাপস গুলতে। জনপ্রিয় এই এ্যাপসগুলো ব্যবহার করে গ্রামাঞ্চলে সন্ধ্যাবেলায় চায়ের দোকানে, রাস্তার মোড়ে,পুকুর পাড়ে,নির্জন স্থান বেছে নিয়ে প্রত্যেক দিনই আড্ডায় মেতে উঠে অল্প বয়সের ছাত্ররা। গ্রামীন যুবকরা দৈনিন্দিন কাজকর্ম বাদ দিয়ে ঘন্টার পর ঘন্টা সময় কাটাচ্ছে এসব পাবজি,ফ্রিফায়ার,লুডুর আসরে।
ফলে এক দিকে অর্থ অপচয় অন্য দিকে সময় নষ্ট হচ্ছে। তবে এভাবে চলতে থাকলে যুব সমাজ এক সময় ধ্বংসের দ্বার প্রান্তে পৌঁছে যাবে।
এ বিষয় সচেতন মহল বলেন, এসব বিষয়ে সমাজে সচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে, না হলে ভবিষ্যতে সমাজ ধ্বংসের দিকে ধাবিত হবে। বিশেষ করে যুব সমাজকে পাবজি,ফ্রিফায়ার,লুডু নামক গেমস থেকে রক্ষা করতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ অতি জরুরি হয়ে পড়েছে।