পার্থিব।।
মুহাম্মদ সাঈদ
আমাকে পার্থিব করে অশ্রুর নদীতে
বিসর্জন দাও শেষে,কাগজ কালিতে;
লিখে যাও অবিরাম দীর্ঘ অবক্ষয়
কেউ কেউ তবু,তোমারে অবলা কয়!
সরল শতাংশে তুমি অযুতাংশ খুঁজে
দাগ খতিয়ান সব লেখো চোখ বুঁজে
বাড়ির উঠোন থেকে ঘরের চৌকাঠ
পূবের হেঁসেল আর দক্ষিণের ঘাট!
রাতের শহর জুড়ে তোমার বৈভব
বিত্তের বাহাদুরি বনেদী অনুভব
আলোর মিছিলে তুমি খুব প্রিয়মুখ
সবই যে আতশবাজি নগ্ন অসুখ!
তবুও তোমার কাছে দৃশ্যমান দিন
আহত রাতের ঘুমে হয় যে বিলীন!
স্নান পাড়া।।
মুহাম্মদ সাঈদ
ভোরের পূর্বাভাষ নিয়ে হেটে গেছে বার্ধক্যের রাত
বোধের আয়ুস্কাল জুড়ে,লিখে দিয়ে শালিকের দিন
ভালোবাসাহীন শোষকেরা সম্ভুক সময়ের ভিত
নষ্ট করেছে সহস্রাব্দ পুরোনো তাম্রলিপি খুঁড়ে!
মাঝ দুপুরে যখন এলোমেলো থাকে সবুজ পাতা
প্রশস্ত প্রাঙ্গণে বসে পাখিদের হাট
তখন স্নান পাড়ায় ষোড়শী সুন্দরীরা সুগন্ধি সাবানে
মোলায়েম ত্বকে ভেজায় শানবাঁধানো ঘাট!
তখনও বোধহীন বার্ধক্যের কাছে পুষ্পমঞ্জরি
অঙ্কুর থেকে দৃশ্যমান নতুন পল্লব
রহস্যঘন কর্পুরের ঘ্রাণ একই বাগানে এসে ঝরাপাতায় কাঁদে