রফিকুল ইসলাম রনি, বরিশাল: জেলার গৌরনদী উপজেলা সদরের প্রধান সড়ক বাসষ্ট্যান্ড থেকে বন্দর হয়ে সরিকল পর্যন্ত জনগুরুত্বপূর্ন জিসি ১৬ কিলোমিটার সড়ক দীর্ঘবছরেও সংস্কার না হওয়ায় খানাখন্দের সৃষ্টি হয়ে চলাচলে সম্পূর্ণ অযোগ্য হয়ে পরেছে। প্রতিদিন এ সড়ক দিয়ে চলাচল করতে গিয়ে চরম ভোগান্তিতে পরছেন বিভিন্ন গাড়ির চালক ও যাত্রীরা, ঘটছে ছোট-বড় অসংখ্য দূর্ঘটনা। এ সড়কে যাতায়াতকারী যাত্রীরা জানান, ঢাকা-বরিশাল মহাসড়ক দিয়ে গৌরনদী বাসষ্ট্যান্ড থেকে উপজেলা পরিষদ, পৌরসভা, থানার সম্মুখ দিয়ে বন্দর হয়ে পিঙ্গলাকাঠী, নলচিড়া, হোসনাবাদ, সরিকলসহ পাশর্^বর্তী কালকিনি উপজেলার রমজানপুর এবং মুলাদী উপজেলার একাংশের প্রায় তিন লক্ষাধিক বাসিন্দাদের যাতায়াতের একমাত্র সড়কটি গত সাত বছর পূর্বে সংস্কার করা হয়েছিলো। এরপর দীর্ঘবছর অতিবাহিত হলেও সড়কটি মেরামত করা হয়নি। বর্তমানে সড়কে ছোট-বড় অসংখ্য গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। গত দুইদিনের বৃষ্টিতে ওইসব গর্তে পানি জমে যানবাহনতো দূরের কথা জনসাধারণের পায়ে হেটে চলাচলও সম্পূর্ণ অযোগ্য হয়ে পরেছে। এমনকি সড়কের ঐতিহ্যবাহী গৌরনদী বন্দরের মধ্যে সু-বিশাল গর্তের সৃষ্টি হয়ে পানি জমে যানবাহন ও জনসাধারণের চলাচলে অযোগ্য হয়ে পরেছে।
সূত্রমতে, গৌরনদীর অভ্যন্তরীন প্রায় সব কাঁচা সড়কগুলো কার্পেটিং করা হলেও রহস্যজনক কারণে জনগুরুত্বপূর্ণ প্রধান সড়কটি সংস্কারে কোন উদ্যোগ গ্রহণ করেনি সংশ্লিষ্ট বিভাগ। ফলে গৌরনদী উপজেলা সদরের সাথে যোগাযোগের একমাত্র এ সড়কটি দিয়ে প্রতিদিন যাতায়াতকারী কয়েক হাজার যাত্রী এবং রোগীদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে। বর্তমানে সড়কটি এমন বেহাল দশা হয়েছে যে মোটরসাইকেল নিয়েও সড়ক দিয়ে চলাচল করা যাচ্ছেনা। ফলে ভূক্তভোগীরা স্থানীয় সংসদ সদস্য আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ’র কাছে গুরুত্বপূর্ণ এ সড়কটি দ্রুত সংস্কারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য জোর দাবি করেছেন।
উল্লেখ যে, গৌরনদীর বাটাজোর থেকে সরিকল বন্দর পর্যন্ত প্রায় আট কিলো রাস্তা খুবই খারাপ অবস্থায় আছে। বাটাজোর কাটা তলা রাবেয়া ফজলে করিম কলেজ সংলগ্ন মোড়ে, দুইটি স্পট খুবই বেহাল অবস্থা। সেখান থেকে প্রতিটি মুহুর্তে গাড়ি যাতায়াত করে যাত্রীদের জীবনের ঝুকি নিয়ে। যে কোন সময় ঘটতে পারে বড় ধরণের দূর্ঘটনার কবলে। আরো বেশ কয়েকটি স্পটে খুবই ঝুকিপূর্ন অবস্থায় আছে রাস্তাটি। তার মধ্যে শাহাজিরার বটতলা নামক স্থান হইতে আগরপুর মিশুক স্ট্যান্ড হয়ে সরিকল কুমাড় বাড়ি পর্যন্ত বড় বড় খাদার(গর্ত) সৃষ্টি হয়েছে। যা থেকে গাড়ি চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
এ ব্যাপারে গৌরনদী উপজেলা এলজিইডি বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী অহিদুর রহমান জানান, অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে জনগুরুত্বপূর্ন সড়কটি সংস্কারের জন্য কয়েক মাস পূর্বে প্রাক্কলন প্রস্তুত করে বরিশাল নির্বাহী প্রকৌশলীর কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে। সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী সড়কটি টেন্ডার প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।