জেলার উজিরপুর উপজেলা ওটরা ইউনিয়নের মশাং গ্রামের কৃতিসন্তান, বিশিষ্ট সমাজসেবক, খুলনা জেলার বিজ্ঞ জেলা জজ এম. এ আউয়াল’এর অক্লান্ত প্রচেষ্টায় নির্মিত মশাং বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়। শহরের তুলনায় গ্রামের মেয়ারা লেখা পড়া থেকে ঝড়ে পরার মাত্রা অনেক বেশি। এর প্রধান কারন হলো, সচেতনতার অভাব, দারিদ্রতা, বাল্যবিবাহ, ইভটিজিং’সহ নানাবিধ সামাজিক ব্যাধি। সমাজ থেকে এসকল ব্যাধী দূর করতে নারী শিক্ষার ভূমিকা অপরিসীম। তাই গ্রামের সহজ সরল দারিদ্র মানুষ গুলোর কথা ভেবে সকলের সুবিধার্থে তিনি প্রতিষ্ঠা করেন ও নিজ উদ্যোগে সার্বিক সহায়তায় প্রাথমিক ভাবে স্কুলের ২ তলা ভবন নির্মান কাজ সম্পন্ন, পাশাপাশি ভবিষ্যতে উত্তর উত্তর উন্নয়নের প্রাক পরিকল্পনা চলমান।
বিদ্যালয়ের বৈশিষ্ট্যের মধ্যে অন্যতম ১. দ্বিতল ভবনে সুদক্ষ শিক্ষক মন্ডলী দ্বারা পরিচালিত। ২. বিনা বেতনে পাঠদান। ৩. লেখা পড়ায় দূর্বল ছাত্রীদের বিশেষ পাঠদানের ব্যবস্থা। ৪. বিদ্যালয়ের উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা। ৫. গরিব মেধাবী ছাত্রীদের বৃত্তিসহ বিভিন্ন ধরনের সহযোগিতা।
এমনকি স্কুলকে কেন্দ্র করে সেঁতসেঁতে কাঁদা মাটির রাস্তা এখন পিচ ঢালাইয়ের সড়ক রুপ নিচ্ছে। এর পিছনেও নেপথ্যে শ্রম দিয়েছেন, জেলা জজ এম. এ আউয়াল। এলাকাবাসীর সার্থে তার এমন অসামান্য ভূমিকায় সকলের মাঝে তিনি স্বরণীয় হয়ে থাকবে চিরকাল।
এবিষয়ে বিশিষ্ট সমাজসেবক বিজ্ঞ জেলা জজ এম. এ আউয়াল বলেন, “স্থানীয়দের দূর্দশার কথা চিন্তা করে, সকলের সহযোগীতায় আলহামদুলিল্লাহ ‘মশাং বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এটা এলাকাবাসীর সম্পদ তাই এখন এই স্কুল দেখা শুনা করে মান মর্যাদা বৃদ্ধি করা সকলের দ্বায়িত্ব। কেউ চিরকাল থাকবে না সবাই একদিন চলে যাবে, কিন্তু মানুষের জন্য এলাকার জন্য কিছু করে যেতে পারলে এটার দোয়া অনন্তকাল থাকবে।”