কক্সবাজারের রামু উপজেলার রাজারকুল ইউনিয়নের ভিলেজার পাড়া (আবুল বন্দর) এলাকার মিজান পেশায় আনসার ভিডিপির সদস্য।৪ বছর আগেও যার রামুতে যাতায়াতের গাড়ী ভাড়া জোগাড় করতে রামুত কষ্ট হতো,যার ঘরে নুন আনতে পান্তা ফুরাইতো,সেই মিজান ইয়াবার ছোঁয়ায় অল্প দিনেই হয়ে গেছেন কোটিপতি।পরিবারের অভাব অনটনের কারণে আনসার ভিডিপির চাকুরী করা মিজান এখন কোটি কোটি টাকার মালিক।রয়েছে নামেবেনামে জমিজমা ও একাধিক কোটি টাকার ভবন।মিজান ইয়াবার ছোঁয়ায় রাতারাতি ভাগ্য বদল করেছে বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ। এলাকাবাসী ও বিভিন্ন সুত্রে জানা গেছে, আনসার ভিডিপির সদস্য মিজানুর রহমানের পরিবার বিগত ৩/৪ বছর আগেও আর্থিক অভাবে ছিল।ইয়াবায় বদলে দিল তার ভাগ্য, বর্তমানে সে কোটি টাকার মালিক। নিজ গ্রাম আবুল বন্দরে আনুমানিক ৫০ লক্ষ টাকা দিয়ে নির্মাণ করেছে আলিশান বাড়ী । তার হঠাৎ পরিবর্তন দেখে এলাকাবাসীও হতবাক।
তাছাড়াও উখিয়ার কোট বাজার স্টেশনের সোনার পাড়া সড়কে ৯৯বছরের জন্য জায়গা লিজ নিয়ে অর্ধ কোটি টাকায় তৈরি করেছে শপিংমল। উখিয়ার মরিচ্যার পাগলির বিলে ক্রয় করেছে ১০ কানি জমি,আবুল বন্দরে ক্রয় করেছে ১০ টিরও অধিক প্লট। রাজারকুল পাঞ্জেগানা এলাকায় বনবিভাগের জায়গায় গড়ে উঠা ৫টি বাসাবাড়ি ক্রয় করেছে ৩০লক্ষ্য টাকায়। কক্সবাজার শহরেও রয়েছে একাধিক ফ্ল্যাট। এছাড়াও পোল্ট্রি খামার, বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসহ নামে-বেনামে বিপুল সম্পদ। একজন হতদরিদ্র পরিবারের ছেলে মাত্র ৪-৫ বছরে এত সম্পদের মালিক কিভাবে হয়? তবে এলাকাবাসীর অভিযোগ সবই হয়েছে ইয়াবার ছোঁয়ায়।তার পরিবারের সবাই ইয়াবার সাথে সম্পৃক্ত। অনুসন্ধানে জানা যায়, গত ২০ সেপ্টেম্বর ২০ ইং তারিখে মিজানুর রহমান ঢাকা খিলক্ষেত থানায় ইয়াবা সহ আটক হয়েছিল।
এবিষয়ে খিলক্ষেত থানায় তার বিরুদ্ধে একটি মাদক মামলাও রয়েছে। কালো টাকার জোরে খুব সহজেই জামিনে বেরিয়ে এসে আবারও ইয়াবা ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে মিজান। মিজান তার ভাইদের নিয়ে একটি শক্তিশালী সিন্ডিকেট তৈরি করেছে। তার ভাইদের দিয়ে চট্টগ্রাম ঢাকা সহ দেশের বিভিন্ন শহরে ইয়াবা পাচার করছে পুরোদমে। ঢাকায় ইয়াবা পাচার করতে গিয়ে গত (৮জুন) মিজানের বড় ভাই মোহাম্মদ হোসেন ৪ হাজার ৮’শ পিস ইয়াবা সহ র্যাবের হাতে আটক হয়।এর আগে গত ১১নভেম্বর ০২০ ইং তারিখে চট্টগ্রামে ইয়াবা পাচার করতে গিয়ে বাকলিয়ায় ইয়াবা সহ আটক হয়েছিল মিজানের ছোট ভাই একরামুল হক (তানভীর)। তার বিরুদ্ধেও বাকলিয়া থানায় একটি মাদক মামলা রয়েছে। এই বিষয়ে বক্তব্য নেওয়ার জন্য মিজান এর মোবাইলে কয়েকবার কল দিয়ে যোগাযোগ করার চেষ্টা করে তাকে না পাওয়ায় বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।