বরগুনা জেলার আমতলী-তালতলী উপজেলা সাগর ও পায়রা নদী সংলগ্ন অঞ্চলের লক্ষাধীক মানুষ ঘুর্ণিঝড় ইয়াসের ঝুঁকিতে রয়েছে। এ উপকুলের মানুষদের রক্ষায় উপজেলা প্রশাসন ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে। দুই উপজেলার ১৫৯টি সাইক্লোণ সেল্টার প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
হালকা বাতাসের সঙ্গে সন্ধ্যায় বজ্রবৃষ্টি শুরু হয়েছে। আগামী বুধবার সকালে ঘুর্ণিঝড় ইয়াস উপকুলীয় অঞ্চল অতিক্রম করতে পারে বলে জানান সহকারী পরিচালক আমতলী ঘুর্ণিঝড় প্রস্তুত কর্মসূচী কর্মকর্তা এম মাহতাবুল বারী।
উপজেলা ঘুর্ণিঝড় কর্মসূচী অফিস সুত্রে জানাগেছে, ঘুর্ণিঝড় ইয়াস পায়রা সমুদ্র বন্দর থেকে ৬০৫ কিলোমিটার দুরে বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। এ অঞ্চলে ২ নম্বর হুসিয়ারী সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। ঘুর্ণিঝড় মোকাবেলায় সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে মানুষদের নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য দুই উপজেলায় ১৫৯ টি সাইক্লোণ সেল্টার প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এর মধ্যে আমতলীতে ১১১টি এবং তালতলীতে ৪৮টি। প্রস্তুত রয়েছে দুই হাজার পাঁচ’শ জন সেচ্ছাসেবক ও মেডিকেল টিম।
জানাগেছে, দু’উপজেলার সাগর ও পায়রা নদী সংলগ্ন বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধের বাহিরে বালিয়াতলী, ঘোপখালী, পশুরবুনিয়া, আড়পাঙ্গাশিয়া, লোচা, আমতলী পৌরসভার ফেরিঘাট, শ্মশাণঘাট, পানি উন্নয়ন বোর্ড, আংগুলকাটা, গুলিশাখালী, গুলিশাখালীর জেলে পল্লী, পঁচাকোড়ালিয়া, ছোটবগী, মৌপাড়া, গাবতলী, চরপাড়া, তালতলী, খোট্টারচর, তেঁতুলবাড়িয়া, জয়ালভাঙ্গা, নলবুনিয়া, ফকিরহাট, নিদ্রাসকিনা ও আমখোলাসহ উপকুলের অধিকাংশ এলাকায় সাইক্লোণ সেল্টার নেই। সাইক্লোণ সেল্টার না থাকায় এ সকল অঞ্চলের লক্ষাধীক মানুষ ঘুর্ণিঝড় ইয়াসের ঝুঁকিতে রয়েছে।
আমতলী রেড ক্রীসেন্ট টীম লিডার রিপন মুন্সী বলেন, আমরা স্বেচ্ছাসেবকরা ঘুর্ণিঝড় ইয়াস মোকাবেলায় প্রস্তুত রয়েছি। মাইকিং চলছে, অসহায়দের সাইক্লোন সেল্টারে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা চলছে।
সহকারী পরিচালক আমতলী ঘুর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচী কর্মকর্তা এম মাহতাবুল বারী বলেন, ঘুর্ণিঝড় ইয়াস পায়রা সমুদ্র বন্দর থেকে ৬০৫ কিলোমিটার দুরে বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। বুধবার সকালে ঘুর্ণিঝড় ইয়াস উপকুলীয় অঞ্চল অতিক্রম করতে পারে।
আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আসাদুজ্জামান বলেন, ঘুর্ণিঝড় ইয়াস মোকাবেলায় সকল সাইক্লোণ সেল্টার খোলা রাখা রয়েছে। সাইক্লোণ সেল্টারে সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে মানুষ যাতে থাকতে পারে সেই উপযোগী করা হয়েছে।