বরিশাল সদর উপজেলার ১০নং চন্দ্রমোহন ইউনিয়ন চন্দ্রমোহন গ্রামে দুটি পারিবারিক কবরস্থানের জায়গা দখল ও ভাংচুর করে প্রভাবশালীর বিরুদ্ধে রাস্তা স্থাপনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। কবরস্থানে শায়িত মৃত ব্যক্তিদের স্বজনরা বাধা দিলেও প্রভাবশালী ব্যক্তি উল্টো দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়ে থাকেন। এনিয়ে স্থানীয় ভাবে থানায় সালিশ মিমাংসার কথা থাকলেও তা মানছেন না তারা । কবরস্থানের পবিত্রতা রক্ষায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য স্থানীয়রা বরিশাল মেট্রোপলিটন বন্দর থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ওই গ্রামের মৃতঃ এয়াকুব আলী হাওলাদারসহ তার পরিবারের সদস্যরা প্রায় শতবছর ধরে বসত বাড়ির পাশেই পারিবারিক কবরস্থান তৈরি করেন। মারা যাওয়ার পর ওই পরিবারের বহু সদস্যকে কবরস্থানে দাফন করা হয়।
এলাকার বাসিন্দারাও বিষয়টি জানেন। সম্প্রতি চন্দ্রমোহন গ্রামে একই বাড়ীর মৃতঃ ইছাহাক হাওলাদারের পুত্র ঝন্টু হাং, মাহফুজা বেগম, নুপুর বেগম, বকুল বেগমসহ কবর স্থানের জায়গা দখর করে সেখানে রাস্তার নির্মানের কাজ শুরু করে। এ ঘটনায় স্থানীয় লোকজন ও মৃত পরিবারের স্বজনরা প্রতিবাদ জানান। প্রতিকার পেতে ঘটনাটি এলাকাবাসী, স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিদের জানানো হয়। কিন্তু প্রভাবশালী ঝন্টু,মাহফুজা, নুপুর ও বকুলসহ কারো কথার তোয়াক্কা না করে রাস্তার নির্মাণ কাজ অব্যাহত রাখে। এ নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। কবরস্থানে জায়গা দখলের কথা স্বীকার করে ঝন্টু,মাহফুজা,বলেন, রাস্তার জায়গা কম হওয়ায় আমরা কিছুটা জমি নিয়েছি।
স্থানীয় ইউপি সদস্য চুন্নু মেম্বার এলাকার লোকজন জানান, জায়গাটি অনেক বছর আগে থেকেই পারিবারিক কবরস্থান হিসেবে চিহ্নিত। এখানে ২টি কবরস্থান রয়েছে এই বাড়ীর সকল বৃদ্ধের মৃত্যুর পড়ে দাফন করা হয়। বিষয়টি খুবই স্পর্শকাতর।কবরস্থান থেকে রাস্তাটি সরিয়ে অন্যত্র নেওয়া উচিৎ। কিন্ত প্রতিপক্ষ ঝন্টু,মাহফুজা, কারো কোনো কথা শুনছে না। এদিকে ভুক্তভোগী পরিবার মোহাব আলী হাং জানান বন্দর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করছেন। এবিষয়ে বরিশাল মেট্রোপলিটন বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন তালুকদারের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও সংযোগ স্থাপন করা যায়নি।