সেলিম রেজা : সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতাল থেকে ২৩ দিনের নবজাতক চুরির ঘটনার ৪ দিন পার হতে না হতেই আবারও জেলার সলঙ্গা থানার শাখাওয়াত এইস. মেমোরিয়াল হাসাপাতাল থেকে ৭ ঘন্টার একটি নবজাতক চুরির ঘটনা ঘটেছে। শনিবার (২৭ ফেব্রুয়ারী) বিকাল ৪টার দিকে শাখাওয়াত এইস. মেমোরিয়াল হাসাপাতাল থেকে নবজাতকটি চুরি হয়। জেলার তাড়াশ থানার নওগা গ্রামের মাজেদ-সবিতা দম্পতির নবজাতকটি। দীর্ঘ ১২ বছর পরে এটাই তাদের প্রথম সন্তান।
কিন্তু পিতা-মাতার বুকে তুলে নেবার আগেই হাড়িয়ে গেলো বুকের ধন। নবজাতকের নানী বলেন, একজন নারী বললো তার ভাইয়ের ছেলে হয়েছে এই হাসপাতালেই। কিন্তু তাকে কোলে নিতে দিচ্ছেন না। তাই শিশুটিকে কোলে নিতে চাইলে আমি দেই। কিন্তু ভিতরে ডাকছে বলে আমাকে পাঠিয়ে দিয়ে শিশুটিকে নিয়ে পালিয়ে যায়। তাকে তিনি চেনেন না বলেও জানান। নবজাতকের বাবা মো. আব্দুল মাজেদ বলেন, গতকাল রাত ৩টার দিকে হাসপাতালে এসে আমার স্ত্রীকে ভর্তি করেছি। ১২ বছর পর আমার প্রথম একটি সন্তান হলো।
পূত্র সন্তান হয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, তাকে কোলে পর্যন্ত নিতে পারলাম না। আমার শ্বাশুড়ি ও স্ত্রীর বোনের কাছেই শিশুটি ছিল। হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, প্রসূতি সবিতাকে ভর্তি করা হয় গত রাতে। সকাল সাড়ে ৯টার দিকে তার একটি পূত্র সন্তান হয়। কিন্তু প্রায় ৭ ঘন্টার মধ্যেই বিকাল ৪টার দিকে শিশুটি চুরি হয়ে যায়। হাসপাতালের ব্যাবস্থাপক মো. জাকির হোসেন বলেন, শিশু চুরির বিষয়টি শুনে আমি পুলিশকে সিসিটিভি ফুটেজ সরবরাহ করেছি।
তবে এ বিষয়ে তাদের কোনো অবহেলা নেই বলেও জানান তিনি। সাখাওয়াত এইস. মেমোরিয়াল হাসপাতালের ব্যাবস্থাপনা পরিচালক ডা. মো. রবিউল ইসলাম বলেন, শিশুটি তার নানির কোলে ছিল। তার কাছ থেকে একজন মহিলা কোলে নিয়ে রাখেন। তারপরে সে সুকৌশলে পালিয়ে যান। আমরা পুলিশকে অবগত করেছি তারা এখন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবেন। তার হাসপাতালের নিরাপত্তার কিছুটা ভুল থাকতে পারে জানিয়ে তিনি বলেন, তদন্তে যদি আমার স্টাফের কেউ জড়িত থাকে তবে তার বিরুদ্ধেও ব্যাবস্থা নেয়া হবে।
সলঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল কাদের জিলানী বলেন, আমরা শুনেছি এবং ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করেছি। আমরা শিশুটিকে খুজে বের করতে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছি। এ বিষয়ে সিরাজগঞ্জের সিভিল সার্জন ডা. মো. জাহিদুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি আমি অবগত হয়েছি। এ ঘটনায় প্রয়োজনে তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে।