বরিশালের উজিরপুরে অসহায় পরিবারের শত বছরের ভোগদখলীয় শেষ সম্বল মাছের ঘের দখলের পায়তারা চালাচ্ছে প্রভাবশালী ভ‚মিদস্যুরা বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ভুক্তভোগী পরিবার সুত্রে জানা যায় উপজেলার শোলক ইউনিয়নের ২৪ নং রামেরকাঠী মৌজায় ২৫৮ নং খতিয়ানের ৩৩৮ নং দাগে মোট ১ একর ১২ শতাংশ জমির মধ্যে মাছের ঘের করে শত বছর ধরে ভোগ দখলে করে আসছে ওই গ্রামের মৃত মহেন্দ্র নাথ মন্ডলের ছেলে মিন্টু লাল মন্ডল গংরা ।
১৯ ডিসেম্বর সকাল ১০ টায় অসহায় পরিবারের সরলতার সুযোগ নিয়ে একই গ্রামের প্রভাবশালী ভ‚মিদস্যু শিশির কুমার শিকদার,প্রকাশ বাড়ৈ, জগদীশ চন্দ্র বাড়ৈ, নিহার বেপারী, গীতা শিকদার, ইলিয়াছ শিকদার, হরিপদ বাড়ৈসহ এক দল ভারাটিয়া সন্ত্রাসী মিলে দেশীয় ধারালো অস্ত্র, রামদা ও চাপাতি নিয়ে পরিকল্পিত ভাবে ক্ষমতার দাপটে প্রকাশ্যে ঘেরের পারের সবজি বাগান ও ফলজ গাছ কর্তন করে এবং বিভিন্ন ভয়ভীতি ও হত্যার হুমকী দিয়ে উক্ত জমি দখলের পায়তারা চালায়। জানা যায় বিরোধীয় জমি নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে একাধিক মামলা মোকাদ্দমা চলমান রয়েছে। এমনকী প্রতিপক্ষ শিশির কুমার শিকদার ইতিপূর্বে সহকারী জজ আদালতে দেওয়ানী ৩২/২০১৩ ইং একটি মামলা দায়ের করে। সে মামলাটি আদালত ২০২০ সালের ১৪ অক্টোবর খারিজ করে দেয়। এরপর আরো বেপরোয়া হয়ে প্রভাবশালী প্রতিপক্ষরা জমি দখলের নয়া মিশন চালায়।
এমনকী ওই জমির উপরে আদালতে শিশির কুমার শিকদার গংরা অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারী করে। জারীকৃত নিষেধাজ্ঞা তারাই উপেক্ষা করে ভ‚ল ব্যাখ্যা দিয়ে মিন্টু লাল মন্ডল গংদের মাছের ঘেরের পারে সবজি বাগান ও ফলজ গাছ কেটে অর্ধ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতিসাধন করে জমি দখলের পায়তারা চালায়। এ ঘটনায় ১৯ ডিসেম্বর উল্লেখ্য অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মিন্টু লাল মন্ডল বাদী হয়ে উজিরপুর মডেল থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। এ.এস.আই শাহআলম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। তিনি জানান শিশির কুমার শিকদারদের বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। ভুক্তভোগী পরিবার আরো জানায় এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ দায়ের করায় শিশির কুমার শিকদার গংরা ক্ষিপ্ত হয়ে ২২ ডিসেম্বর বেলা ১১ টায় তাদের বসতবাড়ীতে ঢুকে প্রকাশ্যে খুন জখমসহ জমি থেকে উৎখাত করার হুমকী দেয়। প্রভাবশালীদের হুমকীর মুখে আতঙ্কে অসহায় পরিবার।
হুমকীর ঘটনায় জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে ঘটনার দিন উজিরপুর মডেল থানায় মিন্টু লাল মন্ডল একটি সাধারন ডায়েরী করেন। সুত্রে জানা যায় উক্ত জমি মিন্টু লাল মন্ডল গংদের পিতার নামে আর.এস, এস.এ পরচা হয় এবং সর্বশেষ বি,এস প্রিন্ট পরচা তার সন্তানদের নামে রেকর্ড সম্পাদন হয়। যাহার খতিয়ান নং ৮২১, দাগ নং ৬৫২ মোট জমি ১ একর ৫ শতাংশ। ভুক্তভোগী মিন্টু লাল মন্ডল জানান আমরা অসহায় হওয়ায় প্রভাবশালী শিশির কুমারসহ উল্লেখ্য অভিযুক্তরা আমাদের পরিবারের উপর প্রায়ই হামলা চালায় এবং আমাদের একমাত্র আয় উপার্যনের মাধ্যম শেষ সম্বল মাছের ঘেরটি দখলের পায়তারা চালায়।
এছাড়াও আমাদের বিরুদ্ধে তারা একের পর এক মামলা দিয়ে হয়রানী করছে। এব্যাপারে অভিযুক্ত শিশির কুমার শিকদার জানান আদালত বিরোধীয় মাছের ঘেরটি মিন্টু লাল গংদের ভোগ দখল করার জণ্য নিষেধাজ্ঞা জারী করেছে। কিন্তু আমাদের ভোগ দখল করার আদেশ দিয়েছে বলে বিষয়টি এড়িয়ে যায়। তবে শিশির কুমার শিকদার কোন কাগজপত্র দেখাতে পারেনি। ওই মামলাবাজ প্রভাবশালী ভ‚মিদস্যুদের কবল থেকে রেহাই পেতে প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সু-দৃষ্টি কামনা করেন অসহায় পরিবার।