করোনা আতংকে যখন ঘর থেকে বের হওয়া নিষিদ্ধ ঠিক এই সুযোগে উজিরপুরের পূর্ব মুন্ডপাশায় চরমোনাই পীরের নাম ব্যবহার করে দখলকৃত সেই জমিতে কাজ চলছে দেদারছে। বালু ভরাট শেষে এখন তৈরী হচ্ছে ঘর।
ওয়ারিশদের বিরোধীয় এই জমটি স্থানীয় তামাক ব্যবসায়ী সোহরাব হোসেন মীর ক্রয় করে চরমোনাই পীরের নামে দান করেন। এরপর বিপাকে পড়ে জমির মালিক। উপায়ান্তর না পেয়ে আদালতে মামলা করেন। এতে চরমোনাইর পীর সৈয়দ মোঃ রেজাউল করিম, মুন্ডপাশার বাসিন্দা সোহরাব হোসেন মীর এবং সুলতান হাওলাদারকে আসামী করা হয়। বিজ্ঞ আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে সহকারী কমিশনার (ভূমি) কে সরেজমিন তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন। বরিশাল বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে গত ১৫ মার্চ জমি দখলের অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করেছেন উজিরপুরের পূর্ব মুন্ডপাশা গ্রামের হারুন অর রশিদ খলিফা। ফৌজদারী কার্যবিধি আইনের ১৪৪/১৪৫ ধারায় এটি দায়ের করা হয়।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, জমিতে কোরআন শিক্ষা বোর্ডের একটি সাইনবোর্ড রয়েছে। সেখানে মারকাজুল কারিম শামেলা মাজেদ কওমী মাদরাসার নাম রয়েছে। পার্শ্বেই ড্রেজার দিয়ে বালু ফেলা হচ্ছে। ভুক্তভোগীর অভিযোগ, মাদরাসা কর্তৃক্ষের যতটুকু জমি রয়েছে তার অন্তত ৭ শতাংশ জমি বেশি দখল করেছে। এতে বার বার বাধা দিলেও তারা কর্নপাত করছেনা। ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান হিসেবে সকল দপ্তরের একটা সদয় দৃস্টির সুযোগ নিচ্ছে তারা।
এদিকে এই মাদরাসার জমিদাতা মৃত মাজেদ মীরের ছেলে সোহরাব মীর বলেন, আমি ঐ জমি ক্রয় করে চরমোনাই পীর পরিচালিত কোরআন শিক্ষা বোর্ডে দান করেছি। সেখানে যদি বেশী জমি দখল হয়ে থাকে তা চরমোনাইর ব্যাপার। ওখানে আমার কোন লাভ-লস নেই। তারা চাইলে চরমোনাই পীর সাহেব হুজুরের কাছে যেতে পারে।
এদিকে ভুক্তভোগী হারুন অর রশিদের স্ত্রী হালিমা বেগম বলেন, আমার স্বামী সেই জমি দখলের সংবাদে অসুস্থ হয়ে পড়েছে। আমরা তার চিকিৎসা নিয়ে ব্যস্ত। দীর্ঘদিন যাবত অনেকের কাছে গিয়েছি কিন্তু চরমোনাই পীরেরা শক্তিশালী হওয়ায় কেউই মাথা ঘামাতে চাচ্ছেনা। আমরা দুর্বল দেখে থানা পুলিশ সহ কেহই পক্ষে কথা বলছেনা।