ড. সায়েম আমীর ফয়সল বলেছেন, আমরা সুখের দিনের বন্ধু নয়, দুঃখের দিনের বন্ধু হতে এসেছি। আমরা ক্ষুদ্র পরিসরের মানুষ তবে আমাদের স্বপ্ন কিন্তু মহান। আমাদের স্বপ্ন হাজার বছরের। আমাদের আদর্শ চৌদ্দশ’ বছরের। মানব কল্যাণে আমরা থাকতে চাই। বুধবার দুপুরে ৪ মার্চ ২০২০ইং তারিখে যশোর জেলা শহরের যশোর জেলা পরিষদ মিলনায়তনে (বি ডি হল) আয়োজিত জনাকীর্ণ এক সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতাকালে তিনি এ সব কথা বলেন। মিলনায়তন বাইরেও জাকের পার্টি ও সহযোগী সংগঠনসমূহের নেতা কর্মীসহ জনতার উপস্থিতি ছিল। যশোর জেলা জাকের পার্টি সভাপতি হাজী মহিদুল ইসলাম সভায় সভাপতিত্ব করেন। যশোর জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সাইফুজ্জামান পিকুল সভায় বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন। ড. সায়েম আমীর ফয়সল জাকের পার্টি কে একটি মধ্যবর্তী ডানপন্থী দল আখ্যা দিয়ে বলেন, গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করতে হলে, রাজনীতিকে অর্থবহ করতে হলে জাকের পার্টির মত দল অত্যন্ত প্রয়োজন হবে। তিনি বলেন, রাজনৈতিক ভারসাম্যের জন্য বাম এবং ডান – উভয়কেই প্রয়োজন। কেননা আজ উগ্র বাম চলে গেলে উগ্র ডান ফায়দা নেবে, আবার উগ্র ডান চলে গেলে উগ্র বাম ফায়দা নেবে। আবার উগ্র ডান দলগুলোকে নিয়ন্ত্রন করতে হলে জাকের পার্টিকে প্রয়োজন, যা অন্য দলগুলো দিয়ে সম্ভব নয়। তাই মধ্যবর্তী ডানপন্থী দল জাকের পার্টি কে প্রয়োজন হবে, যারা গনতান্ত্রিকভাবে শক্তিশালী এবং জাতীয়তাবাদী চেতনায় বিশ্বাস করে। জাকের পার্টির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান সতর্কবাণী উচ্চারণ করে বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আদর্শ জলাঞ্জলি দিয়ে, আওয়ামী লীগের আদর্শ জলাঞ্জলি দিয়ে একশ্রেণীর মানুষ তাদের স্বার্থ হাসিলে ব্যস্ত, এদের নিয়ন্ত্রণ করা না গেলে বিপদ তৈরি হতে পারে। তিনি বাংলাদেশ যাতে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত না হয়, প্রগতিশীল উন্নত রাষ্ট্র হিসাবে অগ্রসর হতে পারে – সে লক্ষ্যে জাকের পার্টি যাতে কাজ করে যেতে পারে, সে জন্য সকলের সহযোগিতা কামনা করেন। ড. সায়েম আমীর ফয়সল বলেন, দেশের স্বার্থ জলাঞ্জলী দিয়ে কোন রাজনীতি আমরা সমর্থন করি না। আমাদের জাতীয়তাবাদী চেতনা আছে। ধর্মনিরপেক্ষতা ও সমাজতন্ত্র আছে। তবে জাতির জনক সমাজতন্ত্রের যে চেতনার ভিত্তিতে স্বাধীনতা আনলেন, সেই সমাজতন্ত্র কিন্তু আসে নি। তিনি আরো বলেন, অর্থনৈতিক বৈষম্য যদি বাড়তে থাকে, তাহলে তা দেশের জন্য শুভ হবে না। এ সময় তিনি বলশেভিক বিপ্লবের কথা স্মরণ করিয়ে দেন। ড. সায়েম আমীর ফয়সল বলেন, রাজনীতির বাইরেও আমরা গত ৬ মাসে আমরা অর্থনৈতিক কার্যক্রমের মাধ্যমে ৬/৭ হাজার লোকের কর্মসংস্থান করতে পেরেছি। সিপিএইচডি‘র মাধ্যমে আগামীতে আমরা ১ লাখ মানুষের কর্ম সংস্থান সৃষ্টি করবো ইনশাআল্লাহ

- মার্চ ৬, ২০২০
৮২৬
Less than a minute