বাগদাদ বিমানবন্দরে মার্কিন ড্রোন থেকে মিসাইল ছুঁড়ে ইরানের প্রভাবশালী সামরিক কমান্ডার কাসেম সোলেমানিকে হত্যা করায় তীব্র প্রতিশোধ নেওয়ার প্রতিজ্ঞা করেছে দেশটি।
এদিকে ইরানকে প্রতিরোধের পদক্ষেপ হিসেবে মধ্যপ্রাচ্যে ৩ হাজার সৈন্য পাঠাচ্ছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।হত্যাকাণ্ডের পর যুক্তরাষ্ট্র বলছে, নিকট ভবিষ্যতে যে কর্মকাণ্ড ঘটানোর পরিকল্পনা করছিল ইরান, তা মার্কিন নাগরিকদের জন্য হুমকি ছিল। শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) ট্রাম্পের নির্দেশে ইরাকের বাগদাদ বিমানবন্দরে সোলেমানিকে হত্যা করা হয়।
ইতিমধ্যে হত্যাকাণ্ডের ঘটনা স্বীকারও করেছে পেন্টাগন। বিপ্লবী গার্ডস বাহিনীর এলিট ইউনিট কুদস ইউনিটের প্রধান সোলেমানি ইরানের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ক্ষমতাধর ব্যক্তি ছিলেন। ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি বলেছেন, এ ঘটনায় পেছনে দায়ীদের জন্য তীব্র প্রতিশোধ অপেক্ষা করছে। সোলেমানির মৃত্যু যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইলের বিপক্ষে ইরানকে দ্বিগুণ শক্তিশালী করে তুলবে। এদিকে ইরানের এই ঘোষণার পর তড়িঘড়ি করেই মধ্যপ্রাচ্যে আরও ৩ হাজার অতিরিক্ত সৈন্য পাঠাচ্ছে ট্রাম্প প্রশাসন।
চলতি সপ্তাহেই তাদের সেখানে নিয়োজিত করা হবে। ইরানের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা বিভাগ ‘সর্বোচ্চ জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিল’ ইতিমধ্যে ঘোষণা দিয়েছে- এই অপরাধমূলক রাজনৈতিক হঠকারিতার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে দায় নিতে হবে। পশ্চিম এশিয়া অঞ্চলে এটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সর্বাধিক কৌশলগত ভুল এবং আমেরিকা সহজেই এর পরিণতি থেকে বাঁচতে পারবে না।
আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম বলছে, ইরান তার আকাশে হঠাৎ যুদ্ধ বিমানের মহড়া শুরু করেছে দিয়েছে। মধ্যপ্রাচ্যে নিয়োজিত বর্তমান সেনাদের সহায়তা করতে ৮২ এয়ারবোন ডিভিশনের ৩ হাজার সেনা যাচ্ছে সেখানে। সোলেমানিকে হত্যার পর তাদের সেখানে নিয়োজিত করার নির্দেশ দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল ট্রাম্প।