বরিশালের উজিরপুর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে প্রশ্নপত্র ফাঁস, কোচিং বানিজ্য, দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থী, অভিবাবক ও এলাকাবাসী। একসময় জেলার শ্রেষ্ঠ বিদ্যাপিঠ হিসেবে এ বিদ্যালয়ের নাম থাকলেও প্রধান শিক্ষকের অসুস্থতার সুযোগ নিয়ে বর্তমানে শিক্ষকদের অনিয়ম ও গাফলতির কারণে পুরো শিক্ষাব্যবস্থা ধ্বংসের পথে। একাধিক শিক্ষার্থী ও অবিভাবকরা জানান ঐ স্কুলের শিক্ষক সুব্রত মন্ডল, নন্দিতা দাস গুপ্তা, রুবি খানমসহ কতিপয় শিক্ষক ২০১৯ সালে তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কোচিং সেন্টারে গণিত ও বিজ্ঞানের যে প্রশ্নপত্র দেয়া হয়েছে হুবহু সেই প্রশ্নপত্র স্কুলের বার্ষিক পরিক্ষায়ও দেয়া হয়েছে। এ নিয়ে এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। কোচিং শিক্ষার নামে শিক্ষকরা দায়সারা ভাবে ক্লাস নিয়ে বিদ্যালয়ের পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন স্থানে কোচিং সেন্টার খুলে জন প্রতি ৫ শত থেতে ৭ শত টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন। এমনকি প্রতি শিক্ষকদের বাসা-বাড়ী স্কুলের পাশাপাশি হওয়ায় আবাসস্থল নয় যেন মিনি বিদ্যালয় স্থাপন করেছেন। ২০১৯ সাল থেকে স্ব-স্ব বিদ্যালয়ে সমাপনী পরিক্ষার প্রশ্নপত্র করার বিধান চালু করলে স্কুলে শিশু শ্রেণি থেকে ৫ম শ্রেণি পর্যন্ত বিভিন্ন পরিক্ষার নামে নিয়ম বহির্ভুত মোটা অংকের টাকা আদায় করে নামসর্বস্ব অস্পষ্ট প্রশ্নপত্র বিতরণ করে শিক্ষার্থীদের বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছেন। প্রতিটি প্রশ্নপত্রে ফটোকপিতে শিক্ষার্থীরা প্রশ্ন না বুঝে কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে অভিভাবকদের জানালে শিক্ষকরা উল্টো অভিভাবকদের হুমকি দেওয়ারও অভিযোগ রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে। পিএসসি পরিক্ষার্থীদের কাছ থেকে সার্টিফিকেট বাবদ ২ শত টাকা থেকে ৫ শত টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন তারা। শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা আরো জানান, উপজেলা সদরে বিভিন্ন সচেতন অভিভাবকরা তাদের সন্তানদের অধিক গুরুত্ব দিয়ে লেখাপড়া করান বিধায় কিছুটা শিক্ষার মান ধরে রাখা সম্ভব হয়েছে। শিক্ষকরা যদি আরো সচেতন হতেন তাহলে শিক্ষার মান আরো ভাল হতো। মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় উপজেলা সদরে হওয়া স্বত্বেও প্রশাসনের নাকের ডগায় এ ভাবে দুর্নীতি ও অনিয়মের আকড়া যেন দেখার কেউ নেই। অভিযোগের ব্যাপারে শিক্ষক রুবি খানম জানান, প্রশ্নপত্র আমি করি না, সুব্রত স্যার করেন। সুব্রত কুমার মন্ডল এর মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তার ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। নন্দিতা দাসগুপ্তা ফোনটি রিসিভ করেননি। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হোসনেয়ারা বেগম কিছু জানেন না বলে সবকিছু এড়িয়ে যান। উপজেলা শিক্ষা অফিসার তাছলিমা বেগম জানান, বিষয়টি আমার জানা নেই, তবে খতিয়ে দেখা হবে।

- ডিসেম্বর ৩০, ২০১৯
১,৩৬৮
Less than a minute
Related Articles
উজিরপুরে শান্তি সমাবেশে আওয়ামীলীগের দখলে রাজপথ
- ফেব্রুয়ারি ১১, ২০২৩