নিজাম উদ্দীন (স্বাধীন): দক্ষিনাঞ্চলের মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক সাবেক শিল্প প্রতিমন্ত্রী শাহজাদা আঃ মালেক খানের নাম সদ্য প্রকাশিত রাজাকার তালিকায় প্রকাশিত হওয়ায় প্রতিবাদ স্বরুপ বেতাগী উপজেলা মুক্তি যোদ্ধা সংসদের উদ্যোগে এক সংবাদ সম্মেলন মুক্তযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবনের হলরুমে গত ২০ ডিসেম্বর বিকেলে অনুষ্ঠিত হয়।সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বীর মুক্তি যোদ্ধা আঃ মোতালেব সিকদার।অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা রেজাউল করিম ফারুক, মুক্তিযোদ্ধা মোঃফরিদ উদ্দিন গাজী।
তিনি বলেন,‘ মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রকাশিত প্রথম পর্বের তালিকা অনুসারে বরগুনার বেতাগীতে বাংলাদেশের স্বাধীনতা বিরোধিতাকারী ২৫ জন রাজাকারের নামের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। এর মধ্যে ঠাঁই পেয়েছে মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ও মুক্তিযোদ্ধা শাহজাদা আব্দুল মালেক খানের নামও। অন্যান্য যাদের নাম রয়েছে তার অধিকাংশেরই বাবার নাম ও ঠিকানা নেই। যা সম্পূর্ণ অসংগতিপূর্ণ। ফলে তালিকায় সঠিক পরিচয় না থাকায় এ নিয়ে স্থানীয়দের মাঝে নানা ধরনের বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়েছে। এমনকি খোদ মুক্তিযোদ্ধরাও চিহ্নিত করতে পারছেন না তালিকায় যাদের নাম প্রকাশ করা হয়েছে প্রকৃত পক্ষে তারাই ওইসব ব্যক্তিকারা। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। গত রোববার মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রকাশিত তালিকার ২১ নং পৃষ্ঠার ৭৫ নং-ক্রমিকে এ অঞ্চলের মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ও বিশিস্ট মুক্তিযোদ্ধা এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর মন্ত্রী পরিষদের সাবেক শিল্প প্রতিমন্ত্রী শাহজাদা আব্দুল মালেক খানের নাম রাজাকার হিসাবে রয়েছে ।
তার বাবা আবি আব্দুল্লাহ খান। উপজেলার বুড়ামজুমদার ইউনিয়নের কাউনিয়া গ্রামে তার বাড়ি। তাঁর নাম রাজাকারের তালিকায় থাকায় বরগুনার মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে। বেতাগীর সর্বত্র আলোচনার ঝড় বইছে। ক্ষোভ প্রকাশ করছেন পরিবারের সদস্যরাও। এ বিষয় উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের প্রশাসক মোঃ রাজীব আহসান বলেন,‘ মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে প্রকাশিত তালিকায় মুক্তিযুদ্ধের সংগঠকের নাম রাজাকারের তালিকায় এসে থাকলে, সেটা যাচাই করে সংশোধনের জন্য মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় পাঠানো হবে। এছাড়া উপজেলায় অন্যান্য যাদের নাম রয়েছে সাময়িকভাবে তা সঠিক বলেই মনে হচ্ছে। কারন এখনো কোন ধরনের অভিযোগ পাওয়া যায়নি।’ তিনি আরও বলেন,‘ যতদিন ধরে দায়িত্বে রয়েছেন এ সময়ের মধ্যে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে কোন রাজাকারের তালিকা চাওয়া হয়নি।