• মে ২৯, ২০২৩
  • Last Update এপ্রিল ১, ২০২৩ ১১:৫৫ পূর্বাহ্ণ
  • বাংলাদেশ

নাগেশ্বরীর শহীদ মিনার থেকে ডাকনিরপাট সড়কের বেহাল দশা

নাগেশ্বরীর শহীদ মিনার থেকে ডাকনিরপাট সড়কের বেহাল দশা

কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী শহীদ মিনার থেকে ডাকনিরপাট হয়ে কালীগঞ্জ ঘাট ১৫ কিলোমিটার সওজ সড়কের বেহাল অবস্থা অতিষ্ট পথচারী। নিরন্তর দুর্ভোগের শিকার জনসাধারণ। রাস্তার সবখানে বড় বড় অসংখ্য খানা খন্দক হওয়ায় প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা। অন্ধকারে প্রায় সময়ে চলাচলও বন্ধ হয়ে যায়। এ সড়কটি দীর্ঘ ৫-৭ বছরেও মেরামত না হওয়ায় চলাচলের অনুপযোগী।সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, কুড়িগ্রাম সড়ক ও জনপথ বিভাগের হাইওয়ে রাস্তা নাগেশ্বরী শহীদ মিনার থেকে ডাকনিরপাট হয়ে কালীগঞ্জ ঘাট ১৫ কিলোমিটার রাস্তার বেহাল অবস্থা চলাচলের অনুপযোগী।

এতটাই গর্ত ও খানাখন্দক আর দু পাড় ভাঙা যে চলাচল করাই দুস্কর। এতে করে ভোগান্তির শিকার হচ্ছে বাই সাইকেল, মোটর সাইকেল, রিকশা, অটো রিকশা, ইজি বাইক, পিকআপসহ ছোটবড় সকল যানবাহন চলাচলকারীরা। ফলে প্রতিনিয়ত ঘটছে ছোট বড় দুর্ঘটনা। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে পতচারীরা। অথচ এ সড়কটি সংস্কারের জন্য ৫-৭ বছরেও ব্যবস্থা নেয়নি কুড়িগ্রাম সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী কিংবা উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ।

হাশেমবাজার এলাকার মন্জুল হক ব্যাপারী, আব্দুল জলিল ব্যাপারী, আব্দুল করিম, আশরাফুল আলম জানায়, নুনখাওয়া, ভিতরবন্দ, কালীগঞ্জ, বল্লভেরখাস, নারায়নপুর ইউনিয়নসমূহের হাজার হাজার মানুষ এ সওজ রাস্তা দিয়ে নাগেশ্বরী উপজেলায় বিভিন্ন কাজে আসে এবং রাস্তায় চলাচল করায় প্রতিদিন ঘটছে ছোটবড় দুর্ঘটনা। যোগাযোগ ব্যবস্থার এমন বেহাল অবস্থা হলেও ৭ বছর থেকে কোন সংস্কার হয়নি। নাগেশ্বরী পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শহীদুল ইসলাম জানায়, রাস্তাটি খানাখন্দকে ভরা ও চলাচল করা অনুপযোগী। বন্যায় এ রাস্তার উপর দিয়ে তীব্রস্রোত পানি প্রবাহিত হওয়ায় অসংখ্য জায়গায় ভেঙ্গে খানা খন্দক ও বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। রাস্তাটি দ্রুত পূর্ণ নির্মাণ অথবা সংস্কারের জন্য আহ্বান জানান।

এ ব্যাপারে কুড়িগ্রাম সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আলী নুরায়েম বলেন, কালীগঞ্জ ঘাট থেকে মন্নেয়ারপাড় ব্রিজ পর্যন্ত সংস্কারের বরাদ্দ পেয়েছি এবং টেন্ডার চলমান। ডাকনিরপাট থেকে নাগেশ্বরী শহীদ মিনার পর্যন্ত সড়কে অনেক গর্ত ও দুপাড় ভাঙা। আমরা প্রকল্পের মাধ্যমে সংস্কারের জন্য বরাদ্দ চেয়েছি কিন্তু এখনো বরাদ্দ পাওয়া যায়নি।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *