জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাগ্নে, পার্বত্য শান্তি চুক্তি কমিটির আহবায়ক মন্ত্রী ও বরিশাল জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ¦ আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ এমপি বলেছেন, বঙ্গবন্ধু সাড়ে তিন বছর ক্ষমতায় ছিলেন, ক্ষমতাকালীন আমাদের তিনি স্বাধীনতা দিয়ে গেছে। আর সাড়ে তিন বছরের মাথায় এদেশের রাজাকার আলবদলরা তাকে হত্যা করে। হত্যা করে ক্ষান্ত হয়নি তারা এদেশটিকে মিনি পাকিস্তান বানাতে চেষ্টা করেছিলেন। খালেদা জিয়া তিনি আরেক ধাপ এগিয়ে গেলেন। যারা কোন দিন আমাদের স্বাধীরতাকে মেনে নিতে পারে নাই। মুক্তিযোদ্ধাদের হত্যা করেছিলো সেই রাজাকার আবুল মন্নানকে মন্ত্রী করলেন, জয়পুর হাটের আব্দুল রাজ্জাককে মন্ত্রী করলো, নিজামীকে মন্ত্রি করলো, মন্ত্রি করলো মুজাহীতকে। সেটা ছিলো আমাদের জন্য খুবই দূরর্ভাগ্য এই মাটিতে যাদের জন্ম না হয়েছে, তাদের এই মাটির মানুষের প্রতি, দেশের প্রতি ভালবাসা থাকেনা। এরশাদ সাহেবের বাড়ি কুষ্ঠিয়া, খালেদা জিয়ার বাড়ি জলপাইগুড়ি, রাজ্জাক খার বাড়ি মুর্সিদাবাদ। যখন এরা ক্ষমতায় ছিলো তারা তখন এই দক্ষিণ বাংলায় কোন উন্নয়ন করেনি।
তিনি আরো বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার ৯৬ সালে ক্ষমতায় এসে এ দক্ষিণ বাংলার উন্নয়ন করেছে। শিকারপুর-দোয়ারিকা সেতু নির্মান, ইঞ্জিনিয়ার কলেজ নির্মান, শিক্ষা বোর্ড নির্মান সহ বিভিন্ন উন্নয়ন মূলক কাজ করছে। ২১ বছরে ওরা আমাদের কি দিয়েছে, দিয়েছে দূরনীতি, জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস উপহার। ২০০১ সালে যখন ওরা (বিএনপি) ক্ষমতায় আসলো, হায়নার মতো আমাদের নেতা কর্মীদের উপর ঝাপিয়ে পড়ল। কোন আওয়ামী লীগ নেতা বাড়িতে ঘুমাতে পারেনি। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসলেও কারো উপর অত্যাচার করে না, ঘর-বাড়ি ছাড়া করে না। আওয়ামী লীগ তৃণমূল পর্যায় শাসন করে এই দেশটাকে এই পর্যন্ত এনেছে।
গতকাল বৃস্পতিবার সকালে অনুষ্ঠিত জেলার বাবুগঞ্জ ডিগ্রী কলেজ মাঠে উপজেলার ত্রী-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা দক্ষিণ অঞ্চলে অনেকই উন্নয়ন করেছে। বিশ^বিদ্যাল, লেবুখালি ব্রিজ, শেখ হাসিনা সেনা নিবাস, দপদপদিয়া সেতু সহ বিভিন্ন উন্নয়ন মূলক কাজ করেছে। প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা বিধভা ভাতা, মুক্তিযোদ্ধা ভাতা, বয়স্কভাতা, মাতৃকালিন ভাতার ব্যবস্থা করছে, এসব ভাতাতো আগে আপনারা পাননি। শেখ হাসিনা হলো শিক্ষাবন্ধব সকার, বছরের প্রথম দিনে শিক্ষার্থীদের মাঝে ৩৬ কুটি নতুন বই প্রদান করেন। তিনি বলেন, উন্নয়নের ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে হলে তৃণমূল আওয়ামী লীগের পতাকা তলে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। এবং ঐক্যবদ্ধ ভাবে শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে হবে। তাহলেই আমাদের বাংলাদেশে আরো বেশি উন্নয়ন হবে। চারলেন হচ্ছে, পদ্মাসেতু দৃশ্যমান, আমাদের বরিশাল হবে সিংগাপুর।
তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রার্থী ও নেতাদের উদ্দেশ্য করে বলেন, আমরা আরো ৫টি উপজেলায় সম্মেলন করছি, সেসব যায়গায় কোন টু-টা শব্দ হয়নি। সবাই আমাদের সিদ্বান্ত গ্রহণ করছে। কোন হাইব্রিডদের স্থান দেয়া হবে না। উপজেলার স্ব-স্ব ইউনিয়নের প্রেসিডেন্ট ও সেক্রেটারিদের সমন্বয়ে আমরা একটি সুন্দার কমিটি আপনাদের উপহার দিবো।
উপজেলা আওয়ামী লীগের বর্তমান সভাপতি ও সভাপতি প্রার্থী কাজী এমদাদুল হক দুলালের সভাপত্বিতে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এড: তালুকদার মোহাম্মাদ ইউনুস। অনুষ্ঠানে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্ঠা সাবেক সচিব সিরাজ উদ্দিন আহম্মেদ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি শাহিনুল ইসলাম শাহিন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান সরদার খালেদ হোসেন স্বপন ।
উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ন-সম্পাদক মুস্তফা কামাল শিচতির সঞ্চরনায় সভামঞ্চে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক মাহাদেব চুন্নু, জেলা আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক এড: কাউয়ুম খান কাওসার, জেলা সহ-প্রচার সম্পাদক এড: মিলন ভ’ইয়া, জেলা মহিলা লীগের সাদারণ সম্পাদক ও গৌরনদী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মনিরুননাহার মেরী, জেলা ছাত্র লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল রাজ্জাক, জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আশিক আব্দুল্লাহ, জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য এড: দেলোয়ার হোসেন, গৌরনদী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এইচ,এম জয়নাল আবিদীন, গৌরনদী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও গৌরনদী পৌর মেয়র হারিচুর রহমান হারিচ, উজিপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এসএম জামাল হোসেন, উজিরপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র গিয়াস উদ্দিন বেপারি, মুলাদী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের সদস্য অধ্যাপক এম এ বারী, মুলাদী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান তারিকুল হাছান কান মিঠু, হিজলা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সুলতান মাহমুদ টিপু । এছাড়াও উপজেলা ও ইউনিয়নের দলীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন সম্মেলনে।