বাংলাদেশের পাসপোর্ট- বৈশ্বিক পাসপোর্ট সূচক ২০১৯–এর তালিকায় বাংলাদেশ এগিয়েছে। গত বছরের তুলনায় ৩ ধাপ এগিয়ে বাংলাদেশের অবস্থান এখন বিশ্বে ৯৭তম। ভিসা ছাড়া শুধু পাসপোর্ট দিয়ে বিদেশ গমনের ওপর জরিপের ভিত্তিতে এ র্যাঙ্কিং করা হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক নাগরিকত্ব ও পরিকল্পনাবিষয়ক সংস্থা হ্যানলি অ্যান্ড পাসপোর্ট পার্টনার্সের সম্প্রতি করা পাসপোর্ট ইনডেক্স থেকে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। বুধবার প্রকাশিত তালিকায় বাংলাদেশের সঙ্গে ৯৭তম স্থানে আছে লেবানন, লিবিয়া, দক্ষিণ সুদান। কোনো দেশের পাসপোর্ট কতটা শক্তিশালী, তা নির্ভর করে ওই পাসপোর্ট দিয়ে কতটি দেশে ভিসা ছাড়াই যাওয়া যায় তার ওপর। ভিসা ছাড়া যাওয়া বলতে বোঝায় ‘অন অ্যারাইভাল ভিসা’। অর্থাৎ, অগ্রিম ভিসা না করে শুধু টিকিট কেটে অন্য দেশে চলে যাওয়া যায়। সেই দেশে ভিসার যাবতীয় কাজ সারা হয়। বাংলাদেশের পাসপোর্টধারীরা ভিসা ছাড়াই বিশ্বের ৪১টি দেশে ভ্রমণ সুবিধা পান। দেশগুলো হলো এশিয়ার ভুটান, ইন্দোনেশিয়া, মালদ্বীপ, নেপাল, শ্রীলঙ্কা এবং পূর্ব তিমুর। আফ্রিকার বেনিন, কেপ ভার্দে আইসল্যান্ড, কোমোরেস, দি জিবুতি, গাম্বিয়া, ঘানা, কেনিয়া লিসোথো, মাদাগাস্কার, মৌরিতানিয়া, মোজাম্বিক, রুয়ান্ডা, সিশিলিস, সোমালিয়া, টোগো, উগান্ডা। ওশেনিয়ার কুক আইসল্যান্ড ফিজি, মাইক্রোনেশিয়া, নিউয়ি, সামোয়া, ট্রুভালু, ভানুয়াতু। ক্যারিবিয়ান অঞ্চলে বাহামা, বার্বাডোজ, ব্রিটিশ ভার্জিন আইসল্যান্ড, ডোমেনিকা, গ্রানাডা, হাইতি, জ্যামাইকা, মন্টসারাত, সেন্ট কিটস এন্ড নেভিস, সেন্ট ভেনিস এন্ড গ্রানাডিস, ত্রিনিদাদ ও টোবাকো এবং আমেরিকায় বলিভিয়া। এর মধ্যে অন-অ্যারাইভাল ভিসা সুবিধা ২০টি দেশে। বিশ্বের ১৮৫টি দেশে যেতে ভিসা প্রয়োজন হয় বাংলাদেশি পাসপোর্টধারীদের।
২০১৮ সালের বৈশ্বিক পাসপোর্ট র্যাঙ্কিংয়ে ৫ ধাপ পিছিয়ে ১০০ ধাপে ছিল বাংলাদেশ। ২০১৭ সালে তালিকায় ছিল ৯৫তম অবস্থানে। বাংলাদেশের প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলোর মধ্য ভারত ৭৯তম (ভিসা ফ্রি ৬১ দেশ), পাকিস্তান ১০২তম (ভিসা ফ্রি ৩৩ দেশে), শ্রীলঙ্কা ৯৫তম (ভিসা ফ্রি ৪৩ দেশ), নেপাল ৯৮তম (ভিসা ফ্রি ৪০ দেশ), মিয়ানমার ৯০তম (ভিসা ফ্রি ৪৮ দেশে) অবস্থানে আছে। ৩০টি দেশে ভিসা ফ্রি সুবিধা নিয়ে তালিকার সর্বনিম্ন স্থানে রয়েছে ইরাক ও আফগানিস্তান। তালিকার শীর্ষে থাকা জাপানের পাসপোর্ট বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী। ১৯০ দেশে ভিসা-ফ্রি এবং অন অ্যারাইভাল ভিসা সুবিধা পাচ্ছেন জাপানোর পাসপোর্টধারীরা। জাপানের পরই দ্বিতীয় স্থানে আছে সিঙ্গাপুর ও দক্ষিণ কোরিয়ার পাসপোর্ট। এই দুই দেশের পাসপোর্টধারীরা ভিসা-ফ্রি এবং অন অ্যারাইভাল ভিসা সুবিধা পাচ্ছেন ১৮৯টি দেশে। ফ্রান্স ও জার্মানি আছে তৃতীয় স্থানে। ১৮৮ দেশে ভিসা-ফ্রি এবং অন অ্যারাইভাল ভিসা সুবিধা পাচ্ছেন এই দুই দেশের পাসপোর্টধারীরা। এর পরই আছে ডেনমার্ক, ফিনল্যান্ড, ইতালি ও সুইডেন। ১৮৭ দেশে ভিসা-ফ্রি এবং অন অ্যারাইভাল ভিসা সুবিধা পান এই চার দেশের পাসপোর্টধারী নাগরিকেরা। লুক্সেমবার্গ ও স্পেন আছে পঞ্চম স্থানে। এই দুই দেশের পাসপোর্টধারী নাগরিকেরা ১৮৬ দেশে ভিসা-ফ্রি এবং অন অ্যারাইভাল ভিসা সুবিধা পাচ্ছেন।
ফেরি করে বিদ্যুৎ বিক্রি: ‘বিদ্যুৎ লাগবে, বিদ্যুৎ!’ বিদ্যুৎ অফিসের লোকদের এমন ডাকে প্রথমে আশ্চর্য হতে পারেন। কিন্তু বিষয়টি আশ্চর্যের হলেও সত্য। দেলদুয়ারে বিদ্যুৎ এখন ফেরি করে বিক্রি হচ্ছে। ভ্যান গাড়িতে মিটার, তার ও বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম নিয়ে লাইনম্যানরা একেকদিন একেক এলাকায় ছুঁটছেন। যাদের বাড়িতে বিদ্যুৎ নেই তাদের আর অফিসে না গেলেও চলবে। যোগাযোগ করে তাদের বাড়িতে পৌঁছে যাচ্ছে ‘আলোর ফেরিওয়ালা ’ ব্যানার লাগানো ভ্যান। ঘরে ওয়ারিং করা থাকলে কোনো ঝামেলা ছাড়াই ৫ থেকে ১০ মিনিটের মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে বিদ্যুৎ সংযোগ। সংযোগ ফি ও অন্য খরচ মিলিয়ে গ্রাহককে তাৎক্ষণিক রশিদের মাধ্যমে পরিশোধ করতে হচ্ছে মাত্র ৪শ ৫০ টাকা। বর্তমান সরকারের অঙ্গীকার মোতাবেক ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেয়ার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে দেলদুয়ার বিদ্যুৎ অফিস। টাঙ্গাইল পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির দেলদুয়ার জোনাল অফিসের উপ মহাব্যবস্থাপক বিপ্লব কুমার সরকার বলেন, ‘দেলদুয়ারে প্রায় ৯৮ ভাগ বাড়িতে বিদ্যুৎ সংযোগ প্রদান করা হয়েছে। বর্তমান সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেয়ার লক্ষ্যে গ্রাহকদের বিনামূল্যে খুঁটি, তার ও অন্য সরঞ্জাম প্রদান করা হয়েছে। প্রতিটি এলাকায় প্রায় বিদ্যুতের লাইন টানানো হয়েছে। খুব শিগগিরই আমরা শতভাগ সংযোগ প্রদান করতে সক্ষম হবো।’৮ জানুয়ারি থেকে যাত্রা শুরু করা ‘আলোর ফেরিওয়ালা’ ভ্রাম্যমান ভ্যানের মাধ্যমে প্রতিদিন ১০টি বাড়িতে বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়া হয়েছে।
এই প্রথম ৪ মহিলা জুয়াড়ীর কারাদণ্ড! রংপুরের পীরগঞ্জে এই প্রথম ৪ মহিলা জুয়াড়ীকে গ্রেফতার করেছে পীরগঞ্জ থানা পুলিশ। বৃহষ্পতিবার দুপুরে ইউএনও’র কার্যালয়ে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে ওই জুয়াড়ীদের প্রত্যেককে ৩ দিনের করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
পুলিশ জানায়, উপজেলা সদরের সর্দারপাড়া/ শাপলাপাড়া আছিয়া কমপ্লেক্সের সামনে এক বাসায় গত বুধবার রাতে স্থানীয় মহিলারা তাস জুয়া (লেপ্পু, হাজারী) খেলছিল। এ সময় থানার এএসআই মাসুদ সরকারের নেতৃত্বে ওই জুয়া আসরে অভিযান চালিয়ে কাঞ্চন বেগম, রওশন আরা, দুলালী ও পারভীন বেগমকে গ্রেফতার করে।
এ ঘটনায় উপজেলা সদর টক অব দ্যা টাউনে পরিণত হয়েছে। ভ্রাম্যমান আদালত চলাকালীন অসংখ্য মানুষের ভীড় সামলাতে পুলিশ হিমশিম খায়। ইউএনও টিএমএ মমিন বলেন, চাকরী জীবনে এই প্রথম মহিলা জুয়াড়ীর কারাদন্ড দিলাম। এটি সমাজের জন্য নৈতিক অবক্ষয়। এ রায়ের মাধ্যমে অপরাধী এবং সম্ভাব্য অপরাধীরা সাবধান হবেন বলে আশা করি।