• মে ৩০, ২০২৩
  • Last Update এপ্রিল ১, ২০২৩ ১১:৫৫ পূর্বাহ্ণ
  • বাংলাদেশ

সিরাজগঞ্জে খুচরা বাজারে কমেনি পেঁয়াজের দাম

সিরাজগঞ্জে খুচরা বাজারে কমেনি পেঁয়াজের দাম

dsdsds

কয়েকদিন হলো দেশের বাজারে এসেছে মিয়ানমার ও মিসর থেকে আমদানি করা পেঁয়াজ।  কিন্তু খুচরা বাজারে চিহ্ন মাত্র নেই। ক্রেতারা অভিযোগ করে বলছেন- প্রায় আগের দামেই বিক্রি করা হচ্ছে পেঁয়াজ। ঘাটতির কথা বলে এখনও কেজিতে সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে নিচ্ছেন বিক্রেতারা। একইসঙ্গে আদা ও রসুন বিক্রি হচ্ছে খুচরা ও পাইকারি বাজারের মধ্যে বড় ব্যবধানে। শুক্রবার (০৪ অক্টোবর) সকালে সিরাজগঞ্জ শাহজাদপুর উপজেলা শাহজাদপুর, খুকনী, বেতকান্দি, বেলতল, রূপ নাই কাঁচাবাজার ঘুরে চোখে এ চিত্র উঠে আসে। কিন্তু এ দিন, দেখা যায়, মিয়ানমারের পেঁয়াজ ৩০ থেকে ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করা হচ্ছে। আর মিসর থেকে আসা পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা কেজি দরে। অন্যদিকে, দেশি পেঁয়াজ,যেটা ফরিদপুরের বলে সবাই জানেন, এটা বিক্রি হচ্ছে (আকারভেদে) ৬০ থেকে ৭০ টাকা কেজি দরে। আর ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৬৮ টাকার মধ্যে। এছাড়া এ বাজারে পাইকারি দেশি রসুন (আকারভেদে) বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১২৫ টাকা কেজি দরে। আর চায়না রসুন ১০০ থেকে ১২০ টাকা। একইসঙ্গে আদা বিক্রি হচ্ছে ১১৩ থেকে ১১৫ টাকার মধ্যে। যে প্রভাব পড়েনি খুচরা বাজারে। শুক্রবার,শাহজাদপুর উপজেলার বিভিন্ন হাট বাজার ঘুরে দেখা যায়, কাঁচাবাজারে দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা কেজি দরে। একই দামে বিক্রি হচ্ছে আমদানি করা অন্য সব পেঁয়াজও। যেখানে পাইকারি ও খুচরার মধ্যে বড় ব্যবধান। তবে খুচরা বিক্রেতারা বলছেন, তাদের বিক্রি করা পেঁয়াজ আমদানির নয়। সবগুলো দেশি। যদিও তারা ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি করছেন ৮৫ থেকে ৯০ টাকা কেজি দরে। যেখানে ৬০ টাকা পাইকারি কেজি দর। পাশাপাশি পাইকারি বাজার উপেক্ষা করে ৪০ থেকে ৬০ টাকা পার্থক্য রেখে বিক্রি আদা ও রসুন। এসব খুচরা বাজারে প্রতি কেজি দেশি রসুন ১৪০ টাকা থেকে ১৬০ টাকা। যা পাইকারিতে ৮০ থেকে ১২৫ টাকা। চায়না রসুন ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে, যা পাইকারি বাজারে ১০০ থেকে ১২০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। খুচরা বাজারে প্রতি কেজি আদা বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ১৭০ টাকা কেজি দরে। যা পাইকারি বাজারে ১১৩ থেকে ১১৫ টাকা। সবকিছু মিলে দামের বড় পার্থক্যের কথা এক রকম স্বীকার করলেও নানা যুক্তি তুলে ধরছেন খুচরা বিক্রেতারা। তাদের দাবি- খুচরা ও পাইকারির মধ্যে তেমন পার্থক্য নেই। মালামাল আনতে অনেক খরচ হয়। ঘর ভাড়া আছে। এসব বাদ দিয়েই তাদের লাভ রাখতে হয়। এ বিষয়ে খুকনী বাজারের এক বিক্রেতা তার নাম প্রকাশ না করার ইচ্ছা তে বলেন বলেন, আমরা পাইকারি বাজার থেকে মাল আনতে গেলে পদে পদে টাকা দেওয়া লাগে বিভিন্ন স্থানে। বাজার থেকে বের হতে গেলে একটা টাকা দিতে হয়, মাল পাহারায় টাকা দিতে হয়, গাড়ি ভাড়া বেশি। আবার মাল আনতে কোনো আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ভ্যান আটকে দিলে, সেখানেও লাগে টাকা। এছাড়া কর্মচারী, দোকান ভাড়া, বিদ্যুৎ বিল বাদ দিয়ে খুব সামান্য পরিমাণ থাকে, যেটা দিয়ে পরিবার চালাতে হয়। বিভিন্ন জায়গাতে টাকা দিতে না হলে ব্যবসায়ীরা কম দামেই মাল সরবরাহ করতে পারবে বলে জানান তিনি।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *