• এপ্রিল ১, ২০২৩
  • Last Update ফেব্রুয়ারি ১১, ২০২৩ ৯:১৫ অপরাহ্ণ
  • বাংলাদেশ

শিক্ষার কাছে হার মানেনি বৈশাখী রায়

শিক্ষার কাছে হার মানেনি বৈশাখী রায়

শিক্ষার কাছে হার মানেনি বৈশাখী রায়
স্টাফ রিপোর্টার, বরিশাল:- নগরীর ৫ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা শারীরিক প্রতিবন্ধী বৈশাখী রায় (১৬)। ছোট বেলা থেকেই প্রতিনিয়ত দারিদ্র ও শারীরিক অসুস্থ্যতার সাথে যুদ্ধ করে আসছে বৈশাখী। যে কারণে মানসিকভাবে বড় হলেও শারীরিকভাবে বেড়ে ওঠা হয়নি তার। তাই ১৬ বছর বয়েস তার উচ্চতা এসে দাঁড়িয়েছে মাত্র তিন ফুট। তবে উচ্চতার কাছে বৈশাখী রায় হার মানলেও শিক্ষার কাছে হার মানেনি। সব প্রতিকূলতাকে নিত্যসাথী করে প্রবল মনোবল নিয়ে সে এগিয়ে গেছে অনেকটা পথ।
বৈশাখী রায় আলহাজ্ব দলিল উদ্দিন গার্লস হাইস্কুল থেকে এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ ৩.০৬ পেয়ে বর্তমানে এ. করিম আইডিয়াল কলেজে মানবিক বিভাগে পড়াশোনা করছে।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, দুই বোনের মধ্যে বৈশাখী রায় ছোট। তার বড় বোন সরকারী মহিলা কলেজে অনার্স প্রথমবর্ষে অধ্যয়নরত। মা অনিতা রানী গৃহিণী আর বাবা বিমল চন্দ্র রায় নিজেও শারীরিক প্রতিবন্ধী হয়ে এলাকার একটি সেলুনে নরসুন্দরের কাজ করে চারজনের সংসার চালাচ্ছেন।
বিমল রায় নিজে শিক্ষিত না হলেও মেয়েদের শিক্ষিত করে গড়ে তুলতে নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। অতিসম্প্রতি বৈশাখী রায় জেলা প্রশাসকের কাছে একটি কম্পিউটার চেয়ে আবেদন করে। বিষয়টি নজরে আসার পর জেলা প্রশাসক খোঁজ খবর নিয়ে বৈশাখীর শিক্ষা কার্যক্রম বেগবান করার পাশাপাশি কম্পিউটারের মাধ্যমে আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে একটি কম্পিউটার কিনে দেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন।
রবিবার সন্ধ্যায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আনুষ্ঠানিকভাবে বৈশাখী ও তার মায়ের হাতে কম্পিউটার এবং কালার প্রিন্টার তুলে দিয়েছেন বরিশালের চৌকস জেলা প্রশাসক এসএম অজিয়র রহমান। জেলা প্রশাসকের তহবিল থেকে কম্পিউটার ও কালার প্রিন্টার পেয়ে আনন্দ প্রকাশ করেছেন শারিরিক প্রতিবন্ধী বৈশাখী রায়।
জেলা প্রশাসক জনকণ্ঠকে বলেন, আমরা যদি বৈশাখী রায়দের মতো মানুষদের পাশে না দাঁড়াই তবে কে দাঁড়াবে। সে (বৈশাখী) হয়তো মানসিকভাবে কিছুটা অসুস্থ্য কিন্তু তার ইচ্ছা শক্তি খুবই প্রখর। কম্পিউটারটি তার শিক্ষাকার্যক্রমে কাজে আসবে। কম্পিউটার বিতরণের সময় অন্যান্যদের মধ্যে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) শহিদুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট রাজীব আহমেদ, নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট সাব্বির আহমেদ, জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন অফিসার আব্দুল লতিফ, জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের প্রফেশন অফিসার সাজ্জাদ পারভেজ উপস্থিত ছিলেন।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *