• জুন ৮, ২০২৩
  • Last Update এপ্রিল ১, ২০২৩ ১১:৫৫ পূর্বাহ্ণ
  • বাংলাদেশ

সিলেটে চাঁদাবাজ সালামকে চার্জশীট থেকে বাঁচাতে পুলিশের পায়তারা!

সিলেটে চাঁদাবাজ সালামকে চার্জশীট থেকে বাঁচাতে পুলিশের পায়তারা!

সিলেটের জকিগঞ্জে বহুল আলোচিত টমটম গাড়ীতে চাঁদাবাজীর ঘটনায় আদালতের নির্দেশে দায়েরকৃত মামলা থেকে চাঁদাবাজ গডফাদার আব্দুস সালামকে বাঁচাতে পুলিশ পায়তারা করে যাচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।  গত বছরের অক্টোবর মাসের প্রথম দিকে জকিগঞ্জ পৌর এলাকার গন্ধদত্ত গ্রামের টমটম চালক আব্দুল হান্নান বাদী হয়ে গোপীরচক গ্রামের বেন্ডাই মিয়ার ছেলে আব্দুস সালাম (৩৫), পীরেরচক গ্রামের ইউনুছ আলীর ছেলে মাসুম আহমদ (২০), একই গ্রামের ধলাই মিয়ার ছেলে আবুল হোসেন (২২), আব্দুস সাত্তারের ছেলে শামিম আহমদ (২৮) ও মৃত মহব্বত আলীর ছেলে মামুন আহমদ (২৫)কে আসামী করে তাদের বিরুদ্ধে চুরি, চাঁদাবাজী ও মারধরের অভিযোগ এনে থানায় অভিযোগ দাখিল করেন। পরে থানা পুলিশ মামলাটি আমলে না নেয়ার কারণে আব্দুল হান্নান জকিগঞ্জ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে অভিযোগ দায়ের করলে আদালত আমলে নিয়ে জকিগঞ্জ থানায় মামলা রেকর্ডের আদেশ দিয়ে ১৫ অক্টোবরের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন। পরে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা অভিযোগপত্র দাখিলে প্রধান আসামীকে অব্যাহতি দেয়ার চেষ্ঠা করছেন এমন অভিযোগ এনে মামলার বাদী আব্দুল হান্নান সিলেটের ডিআইজি বরাবরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এরপরও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা প্রধান আসামী আব্দুস সালামকে মামলা থেকে অব্যাহতি দানের সুপারিশ করে বাকি ৪ আসামীকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এতে মামলার বাদী আদালতের কাছে পুনরায় তদন্তের আবেদন করলে আদালতে তা আমলে নিয়ে জকিগঞ্জ থানা পুলিশকে পুনরায় তদন্তের নির্দেশ দেন। আদালতের নির্দেশের পর মামলাটির তদন্তভার পান জকিগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) সালাহ উদ্দিন। তিনিও আলোচিত এ মামলা থেকে চাঁদাবাজ চক্রের গডফাদার আব্দুস সালামকে বাঁচানোর অপচেষ্ঠা চালিয়ে যাচ্ছেন বলে বাদী অভিযোগ করছেন।

মামলার বাদী আব্দুল হান্নান এ অভিযোগ করে বলেন, মোটা অঙ্কের টাকার কাছে তদন্তকারী কর্মকর্তা সালাহ উদ্দিন অসহায় হয়ে পড়েছেন। প্রধান আসামী প্রভাবশালী হওয়ায় তদন্তকারী কর্মকর্তা তার পক্ষপাতিত্ব আমার স্বাক্ষীদেরকে ধমক দিয়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে প্রধান আসামী আব্দুস সালামকে বাঁচাতে উঠে পড়ে লেগেছেন। আমার স্বাক্ষীদেরকে তিনি ডেকে নিয়ে স্বাক্ষী না নিয়ে উল্টো আব্দুস সালামকে বাঁচাতে পরামর্শ দেন। আমি সিলেটের ডিআইজি স্যারসহ পুলিশ সুপার স্যারের হস্তক্ষেপ প্রার্থী। পুলিশের উর্ধতন কর্মকর্তারা আমার মামলার প্রতি দৃষ্টি রাখলে আমি ন্যায় বিচার পাবো।

অন্যদিকে, এরআগেও আলোচিত চাঁদাবাজ আব্দুস সালামের বিরুদ্ধে একাধিকবার টমটম চালককে জিম্মি করে চাঁদা আদায়ের ঘটনায় বিভিন্নজন থানায় অভিযোগ দাখিল করেছিলেন। পরে আব্দুস সালাম প্রভাব খাটিয়ে পার পেয়ে যান।

এ ব্যাপারে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা জকিগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) সালাহ উদ্দিন বলেন, এরআগে কেন আব্দুস সালামকে অভিযোগপত্র থেকে অব্যাহতি দেয়ার সুপারিশ করা হয়েছিলো তা আমি জানিনা। আমি এখন মামলা তদন্তের দায়িত্ব পেয়েছি। তদন্তে যাদের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যাবে তাদের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন দেবো। তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত কোন কিছু বলা সম্ভব হবেনা। টাকা পয়সার কাছে তিনি অসহায় এমন কথা ঠিক নয় বলে দাবী করেন।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *