• মার্চ ২৭, ২০২৩
  • Last Update ফেব্রুয়ারি ১১, ২০২৩ ৯:১৫ অপরাহ্ণ
  • বাংলাদেশ

খানাখন্দে ভরা বাটাজোড়-সরিকল সড়ক সংস্কার করার দাবী যাতায়াতকারীদের

খানাখন্দে ভরা বাটাজোড়-সরিকল সড়ক সংস্কার করার দাবী যাতায়াতকারীদের

শামীম মীর, বরিশাল:- জেলার গৌরনদী উপজেলার নিত্যদিনের ব্যস্ততম সরিকল-বাটাজোর সড়কটির বেহাল দশা। সড়কটির অধিকাংশ স্থানে বড় বড় গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টির পানিতে সড়কের অধিকাংশ গর্তগুলো পানিতে ভরে থাকে। ফলে দূর্ঘটনার শিকার ভোগ করতে হয় যানবাহনে যাতায়াতকারী যাত্রীদের। সরেজমিনে দেখা যায়, বাটাজোড় বাজার থেকে সরিকল বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত খানাখন্দে ভরা সড়কটি । আর সড়কটি দিয়ে দিবা-রাত্রি কয়েকশত যাত্রীবাহী যানবাহন চলাচলসহ বিভিন্ন মালামাল বহনকারী যান চলাচল করে। সড়কটি দিয়ে সরিকল বাজার থেকে প্রতিদিন সকাল থেকে সন্ধা পর্যন্ত বরিশালগামী বাস চলাচল করে। যে কোন সময় বড় ধরনের দূর্ঘটনায় মৃত্যু টেনে আনতে পারে সড়কটিতে। যানবাহনের যাত্রী ও চালকরা বলেন সড়কটি দিয়ে বর্ষনকালীন ভারি যানবাহনের চলন্ত চাকার পৃষ্ঠে সড়কের পিচ ও পাথর আলগা হয়ে খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। যাতায়াতকারী যাত্রী ও চালকদের দাবি সড়কটি অতি দ্রæত সংস্কার করার। সড়কটির খানাখন্দ কারনে ভোগান্তির শিকার হতে হয় চালক ও যাত্রীদের। মোটর সাইকেল, প্রাইভেটকার, মিনি পিকাপ, মাহিন্দ্র ও মিশুক এ সকল যানবাহন সড়কের গর্তের খাদে পরে দূর্ঘটনার শিকার হচ্ছে। সাকোকাঠি, সাহাজিরা, আধুনা, চন্দ্রহার বাজার, বাটাজোর কাটাগাছ তলা সহ বিভিন্ন স্পটে ছোট বড় অসংখ দীর্ঘদিনের খানাখন্দ রয়েছে। গতাকাল সড়কটি ঘুরে দেখার সময় অনেক পথযাত্রী ক্ষোভের সঙ্গে বলেন সড়কটি এখন মরন ফাঁদ দূর্ঘটনার বড় শিকার হতে পারে বরিশালগামী যাত্রীবাহী বাস গুলো। এছাড়াও সড়কটি দিয়ে প্রতিদিন যাতায়াতকারী আগরপুর ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ এবায়েদুল হক শাহীন বলেন, গাড়ি চলাকালিন অতিরিক্ত ঝাকুনির কারনে শিশু, বৃদ্ধ যাত্রীসহ হৃদরোগে আক্রান্ত যাত্রীদের চরম ভোগান্তি পোহাতে হয়। স্থানীয়রা ক্ষোভের সঙ্গে জানায়, দেশে সড়ক বিভাগে উন্নয়নের ছোয়া লাগলেও, জনপ্রতিনিধি দ্বারা উন্নয়নের ছোয়া একটুও লাগেনী এ ব্যস্ততম সড়কটিতে। তাই দূর্ভোগ রয়েই গেছে যাতায়াতে।

স্থানীয় ড্রাভার সাইদুল ও সুজন জানায়, আমাদের এই এলাকার এই রাস্তাটির অবস্থা খুবই খারাপ। বিশেষ করে মালবাহী ট্রাকগুলো ,বালুর ট্রাকগুলোর জন্য সবচেয়ে বেশি সমস্যা হয়। এসব লোকাল ট্রাকের কারনেই রাস্তাটির এই খারাপ অবস্থা। স্কুল ও কলেজ পড়–য়া ছাত্রী মনি, আয়শা আক্তার ও মনিকা রানী বলেন, খানাখন্দে ভরা এই সড়কটি বর্ষার মৌসুমে স্যাতস্যাতে পরিনত হয়। ফলে আমাদের মতো স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীদের এবং শিক্ষক, অফিসের কর্মকর্তা কর্মচারী, সাধারণ জনগনকে পরতে হয় চরম দুর্ভোগে। তাছাড়াও সড়কটিতে অসংখ্য খানাখন্দ থাকার পাশাপাশি বিভিন্ন স্থানে রয়েছে ধ্বসের চিহ্ন। মিশুক চালক ও মোটোর সাইকেল আরোহীরা জানায় আমরা আমাদের ছেলে মেয়েকে দু’মুঠো ভাত মুখে তুলে দেবার জন্যই এ সড়কটি দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে বাধ্য হই। তাই ভুক্তভোগীরা কতৃপক্ষের কাছে অতি শিগগিরই সড়কটি সংস্কারের জন্য অনুরোধ করেছে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *