• জুন ৮, ২০২৩
  • Last Update এপ্রিল ১, ২০২৩ ১১:৫৫ পূর্বাহ্ণ
  • বাংলাদেশ

সিরাজগঞ্জ চৌহালী এনায়েতপুরে বন্যায় ৯১টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্লাবিত

সিরাজগঞ্জ চৌহালী এনায়েতপুরে বন্যায় ৯১টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্লাবিত

চৌহালী প্রতিনিধিঃ বন্যার পানি কমতে শুরু করলেও সিরাজগঞ্জের চৌহালী ও এনায়েতপুর জুড়ে বেড়েছে বন্যা দুর্ভোগে আক্রান্ত মানুষের হতাশা। গত ৪৮ ঘন্টায় নদীর পানি ৫০ সেন্টিমিটার কমে তা বিপদ সীমার ৫৪ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বন্যায় এ দুটি থানার ১০টি ইউনিয়নের প্রায় অর্ধশতাধিক গ্রাম তলিয়ে যাওয়ায় লাখো মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। তাদের মধ্যে বিরাজ করছে হাহাকার। সদিয়াচাঁদপুর, স্থল,ঘোরজান, উমরপুর, খাষপুখুুরিয়া,খাষকাউলিয়া ইউনিয়নের অধিকাংশ এবং খুকনী, জালালপুর ইউনিয়নের যমুনা তীরবর্তী এলাকার ঘরবাড়ি ১ থেকে ৩ ফুট পানিতে তলিয়ে গেছে। এছাড়া নলকুপ তলিয়ে বিশুদ্ধ খাবার পানি ও খাদ্যের অভাব দেখা দিয়েছে। এর মধ্যে অনেকেই এনায়েতপুর-পাঁচিল ওয়াপদা বাঁধে পলিথিন টাঙিয়ে খোলা আকাশের নিচে বসবাস করছে। তারা এ বন্যায় দুর্বিষহ জীবন কাটালেও যথাযথ সহায়তা পাচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছেন। চরজাজুরিয়া দাখিল মাদ্রাসায় আশ্রয় নেওয়া হাবিবুর রহমান ও মর্তুজ আলী খান জানান, আমরা বন্যায় কাজ হারিয়েছি। মাদ্রাসায় আশ্রয় নিলেও এখানে খেয়ে না খেয়ে কাটছে আমাদের জীবন। এখন পর্যন্তও কেউ আমাদের খোঁজ-খবর নেয়নি। এদিকে চলমান বন্যায় চৌহালী,এনায়েতপুরের ৬০টি প্রাথমিক স্কুল, ২৯টি মাধ্যমিক স্কুল মাদ্রাসা ও ২টি কলেজ তলিয়ে পাঠদানে নতুন দুর্ভোগ যোগ করেছে। এর মধ্যে ক্লাসরুমগুলোতে ১ থেকে ৩ ফুট পানি থাকায় সেখানে পাঠদান কার্যত বন্ধ হয়ে পড়েছে। এছাড়া বাকি স্কুলগুলোতে ক্লাস চলমান থাকলেও রাস্তা-ঘাট তলিয়ে যাওয়ায় উপস্থিতির সংখ্যা একেবারেই নগণ্য বলে জানিয়েছে শিক্ষকরা। সোমবার সকালে সরেজমিনে চৌহালী উপজেলাধীন সুম্ভূদিয়া বহুমূখি উচ্চ বিদ্যালয়ে পরিদর্শনকালে দেখা যায়, ১ টি পাকা ভবন সহ ৪ টি ঘর তলিয়ে যাওয়ায় পাঠদান বন্ধ রয়েছে । মুরাদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ লতিফুল ইসলাম জানান,পহেলা আগষ্ট থেকে আমাদের স্কুলে দ্বিতীয় সাময়িক পরীক্ষা। এ অবস্থায় আমাদের প্রস্তুতি থাকলেও শিক্ষার্থীরা কোন প্রস্তুতিই নিতে পারছেনা। তাই কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি থাকবে, বন্যা দুর্যোগের জন্য যেন পরীক্ষা পেছানো হয়। এ ব্যাপারে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ মনিরুজ্জামান খান জানান,বন্যা আক্রান্ত এ উপজেলার ১২৮টি প্রাথমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৬০টি তলিয়ে যাওয়ায় পাঠদানে সমস্যা হচ্ছে। এ কারণে ২য় সাময়িক পরীক্ষা নিয়ে কিছুটা সংসয় রয়েছে। তবে কর্তৃপক্ষের সাথে পুন:সিদ্ধান্তের বিষয়ে আমরা আলাপ করবো। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ শাহদৎ হোসেন প্রামানিক জানান, স্কুল মাদ্রাসা মিলে ৩৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ২৯টি আর ৫টি কলেজের মধ্যে ২ টি তলিয়ে গেছে যা ছাত্র/ছাত্রীদের পড়া-লেখার ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে ৷ বন্যা পরবর্তী সময়ে এ ক্ষতি কিছুটা হলেও পুষিয়ে নেয়ার চেষ্টা করা হবে ৷

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *