নিজস্ব প্রতিবেদক: বরিশাল : মামলার তদন্তকারী অফিসারের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা প্রত্যাহারের জন্য বাদিকে বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতি প্রদর্শনের অভিযোগ এনে রবিবার বেলা এগারোটায় সংবাদ সম্মেলন করেছেন নিহতের পিতা বাবুল খান।
বরিশাল প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে জেলার বাকেরগঞ্জ উপজেলার কবাই ইউনিয়নের খোদাবক্সকাঠি গ্রামের বাবুল খান লিখিত বক্তব্যে বলেন, তার পুত্র নবম শ্রেনীর ছাত্র শাকিল খানকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে গাছে ঝুলিয়ে রাখার পর পরই শাকিলের প্রেমিকা তামান্না ও তার বাবা ফিরোজ হাওলাদারসহ পরিবারের সদস্যরা আত্মগোপন করেছেন। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করতে গেলে পুলিশ হত্যা মামলা গ্রহণ না করে উল্টো নানা তালবাহানা শুরু করেন। একপর্যায়ে আদালতে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। পরবর্তীতে মামলার তদন্তকারী অফিসার জুবায়ের ইসলাম আসামিদের পক্ষালম্বন করে মামলা তুলে নিতে তাকে (বাদি) বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতি প্রদর্শন করে আসছেন।
সূত্রমতে, শাকিলের সাথে একই স্কুলের সহপাঠী ও প্রতিবেশী তামান্নার দীর্ঘদিন থেকে প্রেমের সর্ম্পক চলে আসছিলো। বিষয়টি মেনে নিতে পারেননি তামান্নার পরিবার। ফলে গত ২৭ মার্চ রাত ১০টার দিকে ঘর থেকে শাকিলকে ডেকে নিয়ে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে লাশ তামান্নার ওড়না দিয়ে পেচিয়ে একটি গাছের সাথে ঝুলিয়ে রাখা হয়। খবর পেয়ে থানা পুলিশ লাশ উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করেন।
এ ঘটনায় নিহতের বাবা থানায় হত্যা মামলা দায়ের করতে গেলে পুলিশ নানা তালবাহানা শুরু করেন। উপায়অন্তুর না পেয়ে পুত্র হত্যার বিচার পেতে বাবুল খান বাদি হয়ে গত ৩১ মার্চ বরিশাল সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে নিহত শাকিলের প্রেমিকা তামান্না আক্তার, তার বাবা ফিরোজ হাওলাদারসহ ১০জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। আদালতে দায়ের করা মামলার তদন্তকারী অফিসার জুবায়ের ইসলাম আসামিদের পক্ষালম্বন করে মামলা তুলে নিতে বাদিকে বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতি প্রদর্শন করে আসছেন। সংবাদ সম্মেলনে নিহত শাকিল খানের বড় ভাই রুবেল খান ও চাচা হেলাল খান উপস্থিত ছিলেন।
হুমকির অভিযোগ অস্বীকার করে মামলার তদন্তকারী অফিসার (ওসি তদন্ত) জুবায়ের ইসলাম বলেন, ময়নাতদন্তের রির্পোট না পাওয়া পর্যন্ত হত্যা নাকি আত্মহত্যা সে ব্যাপারে নিশ্চিত করে কিছু বলা যাচ্ছেনা। তিনি আরও বলেন, সুরাতাহাল রির্পোটে লাশের শরীরে কোন আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি।