• মার্চ ২৭, ২০২৩
  • Last Update ফেব্রুয়ারি ১১, ২০২৩ ৯:১৫ অপরাহ্ণ
  • বাংলাদেশ

পাখির অভয়ারণ্য হচ্ছে ঐতিহ্যবাহী দুর্গাসাগর

পাখির অভয়ারণ্য হচ্ছে ঐতিহ্যবাহী দুর্গাসাগর

নিজস্ব প্রতিদেবক, বরিশাল ॥ জেলার বাবুগঞ্জ উপজেলার মাধবপাশা এলাকায় ঐতিহ্যবাহী দুর্গাসাগরকে পাখিদের অভয়াশ্রম হিসেবে গড়ে তুলতে ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছেন জেলা প্রশাসক। সেলক্ষ্যে ইতোমধ্যে দুর্গাসাগরের চারিপাশের গাছে গাছে হাঁড়ি বেঁধে দেওয়া হয়েছে।
জেলা প্রশাসক এসএম অজিয়র রহমান জনকণ্ঠকে বলেন, ঐতিহ্যবাহী দুর্গাসাগরকে পাখিদের অভয়াশ্রম হিসেবে গড়ে তুলতে গাছে হাড়ি বাঁধা কার্যক্রমের উদ্বোধণ করা হয়েছে। অতিসম্প্রতি এ কার্যক্রমের উদ্বোধণ করেছেন পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী কর্নেল (অবঃ) জাহিদ ফারুক শামিম। এর আগে প্রতিমন্ত্রীকে নিয়ে দুর্গাসাগর দিঘির চারিপাশ ঘুরে দেখা হয়েছে। এসময় প্রতিমন্ত্রী দুর্গাসাগরকে পর্যটনের একটি বড় স্থান হিসেবে গড়ে তুলতে এর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য বজায় রেখে অবকাঠামো উন্নয়ন এবং পর্যটকদের আকর্ষণ করতে বিভিন্ন স্থাপনা নির্মাণের আশ্বাস দিয়েছেন।
সূত্রমতে, বরিশাল শহর থেকে প্রায় ১২ কিলোমিটার উত্তরে বরিশাল-স্বরূপকাঠি আঞ্চলিক সড়কের পাশে মাধবপাশা ইউনিয়ন। ওই ইউনিয়নের মাধবপাশা গ্রামে ঐতিহ্যবাহী দুর্গাসাগর দিঘির অবস্থান। দিঘির জলাভূমির আয়তন ২৭ একর। এর চারপাশে রয়েছে বিভিন্ন বৃক্ষশোভিত বন। সবমিলিয়ে দুর্গাসাগরের আয়তন ৪৫ দশমিক ৪২ একর। দিঘির মাঝখানে রয়েছে গাছগাছালিতে ছাওয়া দৃষ্টিনন্দন দ্বীপ। এ দিঘিতে প্রতিবছর শীতে হাজারো পরিযায়ী পাখির সমাগম ঘটে। পাখির কলরবে মুখর থাকে ওই এলাকা। কিন্তু ২০০৭ সালের ঘূর্ণিঝড় সিডরে গাছপালা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় পাখির আগমন কমতে থাকে। এছাড়া দিঘিটির অল্প দূরত্বে বরিশাল বিমানবন্দর অবস্থিত। উড়োজাহাজের ওঠানামা এবং বিকট শব্দে ক্রমেই পাখির আগমন কমে যায়। তবুও শীতে এখনো এখানে কমবেশি পরিযায়ী পাখির আগমন ঘটে।
সূত্রে আরও জানা গেছে, ১৭৮০ সালে চন্দ্রদ্বীপের পঞ্চদশ রাজা শিব নারায়ণ এই বিশাল জলাধার খনন করেন। তার স্ত্রী দুর্গামতির নামানুসারে খনন করা হয় দুর্গাসাগর দিঘি। পরে দীর্ঘদিন অযতœ-অবহেলায় পরেছিল দিঘিটি। ১৯৭৪ সালে সরকারী উদ্যোগে দিঘিটি পুনঃসংস্কার করা হয়।
জেলা প্রশাসক এসএম অজিয়র রহমান আরও বলেন, দুর্গাসাগরকে পাখির অভয়াশ্রম ও উন্নয়নের লক্ষ্যে ব্যাপক পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। এসব পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য ইতোমধ্যে পর্যটন মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে। চলতি মাসেই দুর্গাসাগর উন্নয়নে বড় একটি প্রকল্প অনুমোদন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *