স্টাফ রিপোর্টার, বরিশাল ॥ ঘূর্নিঝড় ফণীর প্রভাবে নদীতে পানি বৃদ্ধি পেয়ে উত্তালের সৃষ্টি হওয়ায় জেলার মুলাদী, বাবুগঞ্জ ও গৌরনদী উপজেলার সীমান্তবর্তী আড়িয়াল খাঁ ও পালরদী নদীর চরদিয়াশুর নামক এলাকার ভয়াবহ ভাঙন দেখা দিয়েছে। এতে করে চরম হুমকির মুখে পরেছে মিয়ারচর লঞ্চঘাটসহ নদীর তীরবর্তী কয়েকশ’ পরিবার।
সরেজমিনে ভূক্তভোগীরা জানান, ঘূর্নিঝড় ফণীর প্রভাবে শুক্রবার বিকেল থেকে আড়িয়াল খাঁ ও পালরদী নদীতে ভাঙন শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে আড়িয়াল খাঁর গর্ভে ওই এলাকার অসংখ্য ফসলী জমি বিলীন হয়ে গেছে। গৌরনদীর মীরারচর লঞ্চঘাটের অংশে ভাঙন দেখা দেয়ায় টার্মিনালটি নদীর মধ্যে চলে গেছে। নদীর তীরবর্তী কয়েকশ’ পরিবার ও শত শত একর ফসলী জমি ভাঙনের মুখে পরেছে। ক্ষতিগ্রস্থ বাসিন্দারা ভাঙন প্রতিরোধে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য স্থানীয় সংসদ সদস্য মন্ত্রী আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
ফণীর প্রভাবে নদী ভাঙনের খবর পেয়ে শনিবার বিকেলে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন গৌরনদী উপজেলা নির্বাহী অফিসার খালেদা নাছরিন। ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করে তিনি বলেন, ফণীর প্রভাবে উত্তাল আড়িয়াল খাঁ নদীতে পানি বৃদ্ধি পেয়ে ঘুন্নয়নের সৃষ্টি হওয়ায় নদী ভাঙন শুরু হয়েছে। এতে করে গত দুইদিনে মিয়ারচর এলাকার অসংখ্য ফসলী জমি বিলীন হয়ে গেছে। এছাড়া নদীর তীরবর্তী কয়েকটি বসত বাড়ির আশিংক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। অব্যাহত নদী ভাঙনে চরম হুমকির রয়েছে ওই এলাকার শত শত একর ফসলি জমি, নদীর তীরবর্তী কয়েকশ’ পরিবার ও বিভিন্ন স্থাপনা। একইভাবে পালরদী নদীর চরদিয়াশুর নামক এলাকায় ভাঙন দেখা দিয়েছে। তিনি আরও বলেন, ইতোমধ্যে ভাঙনের হুমকিতে পরা পরিবারগুলোর সদস্যদের উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিরাপদ স্থানে নেয়া হয়েছে। বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করে ভাঙন প্রতিরোধে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।