আজ হিজরি সালের শাবান মাসের ১৪ তারিখ-পবিত্র শব-ই-বরাত। আজকের রাতটি মুসলিম উম্মাহর জন্য একটি মহিমান্বিত রাত। মর্যাদাপূর্ণ এই রাতে মহান আল্লাহ তা’য়ালা বান্দাদের জন্য তার অশেষ রহমতের দরজা খুলে দেন।
মহিমান্বিত এই রাতে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা পরম করুণাময় আল্লাহ পাকের অনুগ্রহ লাভের আশায় রাত জেগে নফল নামাজ, কোরআন তিলাওয়াত, জিকিরে মগ্ন থাকবেন। অতীতের গুনাহের জন্য ক্ষমাপ্রার্থনা এবং ভবিষ্যৎ জীবনের কল্যাণ কামনা করে মোনাজাত করবেন।
আজ বাড়ি বাড়ি হালুয়া, রুটি, মাংস সহ হরেক রকমের উপাদেয় খাবার তৈরি করা হবে। এসব খাবার বিতরণ করা হবে আত্মীয়স্বজন, পাড়া-প্রতিবেশী এবং গরিব-দুঃখীর মানুষের মাঝে।
অনেকে রাতভর ইবাদত করে ভোরে কবরস্থানে যাবেন। চিরনিদ্রায় শায়িত আপনজনদের আত্মার মাগফিরাত কামনায়। পবিত্র শব-ই-বরাত উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক পৃথক বাণী দিয়েছেন।
রাষ্ট্রপতি তার বাণীতে বলেন, শব-ই-বরাত মুসলমানদের জন্য এক মহিমান্বিত ও বরকতময় পবিত্র রাত। প্রধানমন্ত্রী তার বাণীতে বলেন, ‘আসুন, সব ধরনের কুসংস্কার, পরিহার করে আমরা শান্তির ধর্ম ইসলামের চেতনাকে ব্যক্তি, সমাজ ও জাতীয় জীবনের সর্বস্তরে প্রতিষ্ঠা করি।’
বাংলাদেশের ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ বলেছেন শব-ই-বরাত আগামী ২১শে এপ্রিলেই পালিত হবে। তিনি সচিবালয়ে এক ব্রিফিংয়ে এ সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন।
এর আগে গত ৬ই এপ্রিল জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভায় একুশে এপ্রিল শব-ই-বরাত পালনের সিদ্ধান্ত হলেও পরে একটি সংগঠন দাবি করে এটি ২০শে এপ্রিল অনুষ্ঠিত হওয়া উচিত।
মজলিসে রুইয়াতুল হিলাল প্রেসিডেন্ট এ বি এম রুহুল হাসান বলেন ৬ই এপ্রিল খাগড়াছড়ি ও মুন্সিগঞ্জে শাবান মাসের চাঁদ দেখা গেছে। যদিও ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সচিব কাজী নূরুল ইসলাম বলেছেন ওই দিন চাঁদ দেখার কোনো খবর দেশের কোথাও পাওয়া যায়নি। তারপরে শব-ই-বরাতের তারিখ নিয়ে বিতর্ক হওয়ায় গত শনিবার জরুরি বৈঠক ডাকেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী।
ওই সভাতেই এগার সদস্যের একটি উপ-কমিটি করা হয় বিশেষজ্ঞ ও আলেম ওলামাদের সমন্বয়ে। আজ ধর্ম প্রতিমন্ত্রী জানিয়েছেন তাদের সুপারিশের ভিত্তিতেই ২১শে এপ্রিল শব-ই-বরাত পালনের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়েছে।
ইসলামিক ফাউন্ডেশন জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে আজ বাদ মাগরিব থেকে রাতব্যাপী কর্মসূচির আয়োজন করেছে। ফজরের পর আখেরি মোনাজাত পরিচালনা করবেন বায়তুল মোকাররম মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মিজানুর রহমান।