• মার্চ ২৩, ২০২৩
  • Last Update ফেব্রুয়ারি ১১, ২০২৩ ৯:১৫ অপরাহ্ণ
  • বাংলাদেশ

বরিশালে ধনার্ঢ্যরা পেয়েছেন ভিজিডি কার্ড ॥ দুঃস্থরা হয়েছেন বঞ্চিত

বরিশালে ধনার্ঢ্যরা পেয়েছেন ভিজিডি কার্ড ॥ দুঃস্থরা হয়েছেন বঞ্চিত

বরিশালে ধনার্ঢ্যরা পেয়েছেন ভিজিডি কার্ড ॥ দুঃস্থরা হয়েছেন বঞ্চিত

স্টাফ রিপোর্টার, বরিশাল ॥ নিজের পরিবার ও ধনাঢ্য আত্মীয়-স্বজনদের মধ্যে ভিজিডি কার্ড বিতরণ করে দুঃস্থদের করা হয়েছে বঞ্চিত। নিজের স্বজনদের মধ্যে দুঃস্থদের ভিজিডি কার্ড বিতরণে রেকর্ড গড়া ইউপি সদস্য আব্দুল কুদ্দুস মোল্লার বিরুদ্ধে এলাকার দুঃস্থদের পক্ষে বুধবার সকালে বিভিন্নস্থানে লিখিত অভিযোগ দায়ের করে প্রতিকার চেয়েছেন এক বাসিন্দা। ধনার্ঢ্য ও স্বাবলম্বী আত্মীয়-স্বজনদের মধ্যে দুঃস্থদের ভাগ্যের ভিজিডি কার্ড ভাগাভাগি করার ঘটনাটি ঘটেছে জেলার আগৈলঝাড়া উপজেলার গৈলা মডেল ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড উত্তর শিহিপাশা এলাকায়।

লিখিত অভিযোগে জানা গেছে, ইউপি সদস্য কুদ্দুস মোল্লা চলতি অর্থবছরে সরকারীভাবে বরাদ্দকৃত এলাকার দুঃস্থদের জন্য ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ২১টি ভিজিডি কার্ড বরাদ্দ পেয়েছেন। ওইসব কার্ড এলাকার হতদরিদ্র, দুঃস্থদের উপেক্ষা করে তিনি (্ইউপি সদস্য) ১৩টি কার্ড নিজের চাচা, ভাতিজা, বোন, দুলাভাই, ভাগনী, বেয়াই, বেয়াইর ছেলে, চাচাতো ভাই, মামাতো ভাই, মামাতো ভাইয়ের ছেলে, মামাতো বোনের মেয়ে জামাই, মামাতো বোনের দেবরকে পর্যন্ত প্রদান করেছেন। ইউপি সদস্যর আত্মীয়-স্বজনরা ভিজিডি কর্ডের আওতায় এসে ইতোমধ্যে সরকারীভাবে বরাদ্দকৃত তিন মাসের চাল উত্তোলন করেছেন। নিজেদের মধ্যে কার্ড বন্টনের বিষয়টি চাল উত্তোলনের পর এলাকায় ছড়িয়ে পরলে দুঃস্থদের মধ্যে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
দুঃস্থদের পক্ষে লিখিত অভিযোগ দিয়ে প্রতিকার প্রার্থনাকারী ওই ওয়ার্ডের বাসিন্দা আশরাফ ফরিয়া অভিযোগে উল্লেখ করেন, ওয়ার্ডের অসহায়, দুঃস্থ, সম্পদহীন, দিনমজুর, দরিদ্র ও প্রতিবন্ধী পরিবারকে সরকারী ভিজিডি কার্ড প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত করে ইউপি সদস্য কুদ্দুস মোল্লা তার পরিবারের সদস্য ও নিকট আত্মীয়-স্বজনদের মাঝে কার্ড বন্টন করেছেন।

এছাড়াও ইউপি সদস্যর বন্টন করা ভিজিডি কার্ডধারী পরিবারের সদস্যরা বয়স্কভাতার আওতায় থেকে বিদেশে পর্যন্ত রয়েছেন। এমনকি কার্ডের নিয়ম বহির্ভূত ধনি পরিবারের ১২০ শতক জমি, টিনের দোতলা ঘর এবং পাকা বাড়িও রয়েছে তাদের। কার্ডের সুবিধা ভোগীরা কেউই দুঃস্থ নয়, সকলেই স্বাবলম্বী পরিবার।

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত ইউপি সদস্য আব্দুল কুদ্দুস মোল্লা বলেন, নিয়মানুযায়ীই কার্ড বিতরণ করা হয়েছে। তবে কুদ্দুস মোল্লার ভিজিডি কার্ড বন্টনে কিছু অনিয়ম হয়েছে বলে স্বীকার করেছেন গৈলা মডেল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শফিকুল হোসেন টিটু। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিপুল চন্দ্র দাস বলেন, কার্ড বিতরণের অনিয়মের ব্যাপারে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের পাশাপাশি দরিদ্রদের কার্ড দরিদ্রদের ফিরিয়ে দেয়া হবে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *