স্টাফ রিপোর্টার, বরিশাল ॥ ভিসি’র পদত্যাগের দাবিতে শিক্ষার্থীদের ১৩দিনের চলমান আন্দোলনের মধ্যে এবার রবিবার সকালে মানববন্ধন করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারী কল্যাণ পরিষদ।
পরিষদের সভাপতি মোঃ হাসানুজ্জামান জানান, ১২ দফা দাবীতে সকাল সাড়ে দশটায় তারা বিশ^বিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে মানববন্ধন করেছেন। তিনি আরও বলেন, বিগত দিনগুলোতে আমাদের বিভিন্ন দাবী পূরণের জন্য জানিয়ে আসলেও তা আজও কার্যকর করা হয়নি। যে কারণে আমাদের বেতন বৈষম্য দূর করাসহ ১২ দফা দাবীতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়েছে।
কর্মসূচি চলাকালিন সময় অনুষ্ঠিত সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আইয়ুব আলী শরীফ, সাবেক সভাপতি শাহাজাদা খান, মোঃ পারভেজ প্রমুখ। বক্তারা বলেন, তিন বছর থেকে তারা দাবিগুলো বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে জানিয়ে আসলেও কার্যকরী কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি।
দাবীগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে, নীতিমালা সংশোধন করে শিক্ষাগত যোগ্যতা, দক্ষতা অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে সরাসরি নিয়োগের ৬০% অভ্যন্তরীনভাবে পদসহ পদোন্নতি বিধান করতে হবে। যা জেষ্ঠ্যতার ভিত্তিতে প্রদান করতে হবে। পদোন্নতির বয়স হলে শিক্ষাগত যোগ্যতা ও দক্ষতা না থাকলে শুধুমাত্র গ্রেড পরিবর্তন করতে হবে। সময় উপযোগী সার্ভিস রুল প্রণয়ন করতে হবে। অতিরিক্ত সময়ে কাজের মজুরি হবে বেসিক হারে এবং রাত্রিকালীন ভাতা প্রদানসহ সকল প্রকার পরিতোষিকে ভাতা প্রদান করতে হবে। অনুমোদনের মাধ্যমে অর্জনকৃত সকল সনদপত্র নথিভুক্তির পর দুটি ইনক্রিমেন্ট প্রদান করা এবং নথিভুক্তির জন্য অভ্যন্তরীন পরীক্ষা বন্ধ করতে হবে।
মানববন্ধন শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বরাবার লিখিত আকারে দাবি নামা পেশ করার কথা থাকলেও শিক্ষার্থীদের চলমান আন্দোলনে প্রশাসনিক কার্যক্রম বন্ধ থাকায় তা সম্ভব হয়নি।
একইদিন সকাল দশটা থেকে বরিশাল বিশ^বিদ্যালয়ের উপাচার্যের পদত্যাগের দাবীতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান করে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করছেন। শিক্ষার্থীরা জানান, তারা বিভাগীয় কমিশনারের আমন্ত্রণে গত ৬ এপ্রিল বৈঠকে বসেছিলেন। বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে রবিবার থেকে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হবে এবং উপাচার্যকে অবসরে পাঠিয়ে নতুন উপাচার্য দেয়া হবে। কিন্তু উপাচার্যের পদত্যাগপত্র লিখিতভাবে না পাওয়া পর্যন্ত তারা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন।