খালাফ হত্যায় সাইফুলের ফাঁসি
সৌদি দূতাবাস কর্মকর্তা খালাফ আল আলী হত্যা মামলার আসামি সাইফুল ইসলাম মামুনের মৃত্যুদণ্ড রোববার রাতে কার্যকর করা হয়েছে। বাগেরহাটের শরণখোলা থানার খোন্তাকাটা গ্রামের আবদুল মোতালেব হাওলাদারের ছেলে সাইফুল।
কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের জেল সুপার মো. শাহজাহান জানান, রোববার রাত ১০টা ১ মিনিটে সাইফুলের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে। মৃত্যুদণ্ডের রায় হওয়ার পর থেকে সাইফুল কাশিমপুর কারাগারের কনডেম সেলে বন্দি ছিল। এ সময় গাজীপুরের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. মশিউর রহমান, সিভিল সার্জন ডা. সৈয়দ মনজুরুল হক, গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের ডিসি মো. শরিফুর রহমান, জেল সুপার শাহজাহান আহামেদ, জেলার বিকাশ রায়হান উপস্থিত ছিলেন।
কারাগারের চিকিৎসক মো. মিজানুর রহমান জানান, দুপুরে সাইফুলের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়। তখন তিনি সুস্থ ও স্বাভাবিক ছিলেন। গাজীপুরের জেলা প্রশাসক ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হূমায়ূন কবীর জানান, সাইফুলের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে। কারা কর্তৃপক্ষ জানায়, দুপুরে সাইফুলের মা, ভাই ও বোনসহ ১০ জন স্বজন তার সঙ্গে দেখা করেন। জল্লাদ রাজু ফাঁসি মঞ্চের লিভার টেনে সাইফুলের ফাঁসি কার্যকর করে। সাইফুলের মৃত্যু চিকিৎসকরা নিশ্চিত করলে আনুষঙ্গিক কাজ সেরে স্বজনদের কাছে তার লাশ হস্তান্তর করা হয়। সাইফুলের মা আলেয়া বেগম কারা কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে লাশ গ্রহণ করেন। এ সময় তার মামাতো ভাই তামিম ও মামা সোহাগ উপ?স্থিত ছিলেন। রাত সাড়ে ১০টার দিকে সাইফুলের মরদেহ নিয়ে অ্যাম্বুলেন্স তার গ্রামের বাড়ি বাগেরহাটের উদ্দেশে রওনা দেয়।
ঢাকার গুলশানের কূটনীতিক পাড়ায় ২০১২ সালের ৫ মার্চ সৌদি দূতাবাস কর্মকর্তা খালাফ আল আলী দুর্বৃত্তের গুলিতে মারাত্মক আহত হন। পরদিন ভোরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে গুলশান থানায় মামলা করে। ওই মামলায় পাঁচজনকে মৃত্যুদণ্ড দেন আদালত। পরে দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা ওই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন। ২০১৩ সালে সাইফুলের মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখেন হাইকোর্ট। এ ছাড়া তিনজনকে মৃত্যুদণ্ডের পরিবর্তে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং একজনকে খালাস দেন আদালত। হাইকোর্টের রায়ে বলা হয়, অভিযুক্তরা উদ্দেশ্যমূলকভাবে ডাকাতি করতে হত্যাকাণ্ড ঘটায়। হত্যাকাণ্ডের জন্য তারা সবাই দায়ী। আসামি আল আমিন ও খোকনের স্বীকারোক্তি অনুসারে, পয়েন্ট ২২ বোরের রিভলবার দিয়ে সাইফুল ফায়ার করে। এতে খালাফ আহত হয়ে পরে মারা যান। তবে সাক্ষ্য-প্রমাণ না থা
গাজীপুরে ব্যবসায়ী খুনের প্রধান আসামি রুনা গ্রেফতার।
গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের কোনাবাড়ী এলাকার ব্যবসায়ী সবুজ পাঠান হত্যা মামলার প্রধান নারী আসামী রুনা আক্তারকে (২৮) গ্রেফতারকরা হয়েছে।
সোমবার সকালে গাজীপুরের হরিনাচালা এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে তুরাগ থানা পুলিশ।
গ্রেফতারকৃত রুনা আক্তার গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের বারেন্ডা গ্রামের সাত্তার মিয়ার স্ত্রী।
নিহত সবুজ পাঠানের স্ত্রী বাপ্পি আক্তার জানান, গাজীপুর সদরের কোনাবাড়ী এলাকার দুলাল মেম্বারের মেয়ে রুনা আক্তার ঢাকার তুরাগ থানা এলাকার আহালিয়া এলাকার ১০৯৮ বাসায় থাকেন। গত বছরের ৩০ আগস্ট রাত সাড়ে ৮টার দিকে সবুজ পাঠানের মোবাইলে ফোন করে তাকে বাসায় ডেকে নেয়। পরদিন ৩১ আগস্ট রাত সাড়ে ১০টার দিকে মোবাইল ফোনে রায়হান নামে একজন তাদের জানান, সবুজ গুরুতর অসুস্থ।
তিনি জানান, কোনাবাড়ী এলাকার দুলাল মেম্বারের মেয়ে রুনা আক্তার, আরাফাত, মফিজ উদ্দিন, সিয়াম ও আব্দুল সাত্তার নামের কয়েকজন মিলে সবুজ পাঠানের লাশ বড় বোন শাহিদার উত্তরার বাসা নিয়ে আসে। রুনাসহ তার স্বজনরা মিলে ৩০ আগস্ট রাতে পরিকল্পিকভাবে তাকে হত্যা করে।
এ ঘটনায় সবুজ পাঠানের স্ত্রী বাপ্পি আক্তার বাদী হয়ে ৬ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
তুরাগ থানার পরিদর্শক (তদন্ত ) দুলাল মিয়া জানান, ওই হত্যা মামলার প্রধান আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মামলার অন্যান্য আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রাখা হয়েছে।