সেবার নামে যাত্রী হয়রানী আব্দুল্লাহ পরিবহনের
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ যাত্রী সেবার নামে প্রতিনিয়ত করে যাচ্ছে যাত্রী হয়রানী। যশোর মনিহার থেকে বরিশালগামী আবদুল্লাহ পরিবহনে যাত্রীদের সেবা না দিয়ে তাদের নিজস্ব স্বার্থ হাসিলের উদ্দ্যেশে প্রতিনিয়ত হয়রানীমূলক আচরন বিধি করে যাচ্ছে গাড়ির ড্রাইভার ও সুপারভাইজার। প্রতিদিন যাত্রী বোঝাই গাড়িটি মনিহার থেকে ছেড়ে যায় ভোলা চরফ্যাশনের উদ্দ্যেশে। পথিমধ্যে শুরু হয় তাদের মালামাল ওঠানামার কাজ। যাত্রীদের জিম্মি করে পথিমধ্যে আবদুল্লাহ পরিবহন অহরহ করে যাচ্ছে এই কার্যক্রম। যশোর মনিহার থেকে আসা যাত্রী মোঃ সুমন হোসেন জানান গত কাল ১০/০২/২০১৯ইং তারিখ যশোরের মনিহার বাস টার্মিনাল থেকে বরিশালের উদ্দ্যেশে সন্ধ্যা ০৭(সাত)টা বাজে আবদুল্লাহ পরিবহন ঢাকা মেট্টো ব-১৪-৭৮২০ নাম্বারের গাড়িটি ছেড়ে আসার কথা ফরিদপুর হয়ে বরিশালের উদ্দ্যেশে। কিন্তু পরিবহনটি খুলনা-বাগেরহাট-গোপালগঞ্জ হয়ে আসে ভোলার চরফ্যাশনের উদ্দ্যেশে।
গাড়িটি বরিশালের বাটাজোরে এসে পৌছানোর কথা রাত্র এগারোটার মধ্যে। কিন্তু গাড়িটি এসে পৌছায় রাত্র তিনটা বাজে। প্রথমে পথে পথে যাত্রী, তার পরেই শুরু হয় মালামাল ওঠানোর কাজ। খুলনার দৌলতপুর এবং সোনাডাঙ্গা স্টপেজে এসে প্রায় দেরঘন্টা যাবত বিভিন্ন প্রকার মালামাল উঠায়। তার কিছুক্ষন গাড়ি চালানোর পরে পূনরায় বাগেরহাটের মোল্লারহাটে “মেসার্স রহিমা ফিলিংস স্টেশনে” এসে প্রায় দেরঘন্টা অন্য গাড়ির মালামাল উঠায়। এতে করে প্রায় তিন ঘন্টার বেশি ধরে সময় অতিবাহিত হয় এবং যাত্রী ভোগান্তির স্বীকার হয়। গাড়ির সুপারভাইজার এর কাছে সমস্যা কথা জানতে চাইলে তিনি বলেন এভাবেই তাদের সার্ভিস। যারা ভালো লাগে আসবে, ভালো লাগবে না আসবে না। এভাবে যদি চলতে থাকে তাহলে যাত্রীদের ভোগান্তির শেষ কোথায়??? উল্লেখ্য, আরো প্রতারনা করে যাচ্ছে মনিহার বাস মালিক সমিতির কাউন্টার থেকে।
যাত্রী যে রুটে যাবে সেই রুটের টিকিট না দিয়ে অন্য রুটের টিকিট বিক্রি করে দেয়। তাতে করে যাত্রীগণ পড়ছে ভিষন সমস্যায়। নষ্ট হয় তাদের মূল্যবান সময়। তাই এভাবে পথে পথে মালামাল উঠিয়ে যাত্রীদের হয়রানীর হাত থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য প্রশাসনের সু-দৃষ্টি কামনা করছে যাত্রীগণ।