• মার্চ ২৭, ২০২৩
  • Last Update ফেব্রুয়ারি ১১, ২০২৩ ৯:১৫ অপরাহ্ণ
  • বাংলাদেশ

হাসপাতালে চিকিৎসক পাওয়া না গেলে ওএসডির নির্দেশ: প্রধানমন্ত্রী

হাসপাতালে চিকিৎসক পাওয়া না গেলে ওএসডির নির্দেশ: প্রধানমন্ত্রী

দেশের সকল সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসকের উপস্থিতি নিশ্চিত করার নির্দেশ দিয়েছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেজন্য হাসপাতালগুলোতে বায়োমেট্রিক পদ্ধতি চালুরও নির্দেশ দেন তিনি। রোববার সকালে সচিবালয়ে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় পরিদর্শনে গিয়ে এসব কথা বলেন তিনি। হাসপাতালে অনুপস্থিত চিকিৎসকদের সাময়িক বরখাস্তেরও নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, হাসপাতালে ডাক্তাদের উপস্থিতি শতভাগ নিশ্চিত করুন— কর্মক্ষেত্রে তাদেরকে পাওয়া না গেলে সঙ্গে সঙ্গে ওএসডি করতে হবে। আমার নির্দেশ আজ থেকে যে হাসপাতালে যে তাদের পাওয়া যাবে না সঙ্গে সঙ্গে তাকে ওএসডি করতে হবে পরেটা পরে দেখা যাবে।

যারা জনগণের সেবা দিতে পারবেন না সে সব চিকিৎসকদের পেশা ছেড়ে দিতেও বলেন তিনি।

এ সময় চিকিৎসকদের ২ বছরের ইন্টার্নশিপ করার ওপর গুরুত্ব দিয়ে প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, এরমধ্যে একবছর উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে থাকতে হবে।

সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় পরিদর্শনের অংশ হিসেবে রোববার সকালে সচিবালয়ে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ে যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেখানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক ও মন্ত্রণালয়ের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা তাকে স্বাগত জানান। পরে মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে সারাদেশের চিকিৎসা সেবার খোঁজ খবর নেন।

দিক নির্দেশনা দেন জনগণকে চিকিৎসা সেবা দেবার— দেশের প্রতিটি সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসকের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে বায়োমেট্রিক পদ্ধতি চালু করতেও নির্দেশ দেন তিনি। চিকিৎসকদের কমপক্ষে দুই বছর ইন্টার্নশীপ করার পরামর্শ দিয়ে এর মধ্যে একবছর উপজেলায় থাকার বিধান করার পরামর্শ দেন প্রধানমন্ত্রী।

দেশের বিভাগীয় শহরগুলোকে ১০০ শয্যা বিশিষ্ট ক্যান্সার হাসপাতাল নির্মাণের কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।

উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন চিকিৎসা খাতে নেওয়া নানা উদ্যোগ, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল আরো সম্প্রসারিত করা হবে।

সেই সংগে মাননীয় প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা আরও বলেন, বিভাগীয় শহরগুলোতে বড় বড় হাসপাতাল নির্মাণ করতে হবে— যাতে রাজধানীতে রোগীর চাপ কম পড়ে। রাজধানীর সেবা যেন তারা ওইসব হাসপাতাল থেকে পায় তেমন করে গড়ে তুলতে হবে। শুধু ওষুধ খাওয়ানো নার্সদের কাজ নয়, রোগীকে প্রকৃত সেবাও দিতে হবে। সঠিক দায়িত্ব পালন না করলে নার্সদেরকেও সঙ্গে সঙ্গে অব্যহতি দিন— রোগীর সেবা করাই ডাক্তার ও নার্সদের মূল কাজ। এটি করতে না পারলে এই পেশায় থাকার দরকার নেই।

একই সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বেসরকারি চিকিৎসা সেবা ও হাসপাতালগুলোতে নজরদারি বাড়াতে নির্দেশনা দেন স্বাস্থ্যমন্ত্রণালয়কে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *