• মার্চ ২৮, ২০২৩
  • Last Update ফেব্রুয়ারি ১১, ২০২৩ ৯:১৫ অপরাহ্ণ
  • বাংলাদেশ

মুহাম্মদ সাঈদ-এর গুচ্ছ কবিতা

মুহাম্মদ সাঈদ-এর গুচ্ছ কবিতা

বিষণ্ণ পোস্টার

নৈরাশ্যবাদীরা নগরী জুড়ে ছড়ায়ে বিষন্ন পোস্টার
সকালের আলোর মহিমা করে গেছে ম্লান!
স্নান সেরে উঠে এসে রোদের কপালে দিয়ে চুমু
ভুলে গেছি নিতে উষ্ণতার ঘ্রাণ!

তিলোত্তমা এই শহরে রুটিনবাঁধা জীবন,আর ভালো লাগেনা!
চৈতালি হাওয়ায় শেষরাতে ওড়েনি কোনো ফানুশ
তরঙ্গ উঠেনি একুরিয়ামে- বৃদ্ধ বনসাই, পোষা লাভবার্ড
ক্যাকটাস-ফনিমনসা-টবের গোলাপে নেই পরিচিত আলোড়ন।

উজান স্রোত

উজান স্রোতে ভাসতে ভাসতে –
উধাও হয়ে গেছে বাধ্যর্ক্যের গায়ের পশম-
স্নায়ুতন্ত্রের সুক্ষ অনুভূতি শরীরের অবাঞ্চিত লোম!
নরম জিজ্ঞাসা- নিষিদ্ধ সঙ্গম।

মাতাল হাওয়ায় উড়তে উড়তে –
ইথারের শিথানে হেঁটে শেষে অশরীরী ওম!
অভিবাদনের শিরোস্ত্রাণ লোমশ বুকে জড়িয়ে
ভুলতে চায়- কবিতা আশ্রম।

মেঘ মায়া

অপেক্ষার সন্ধ্যাজুড়ে থাকো আধার নামবে বলে
নিকটাত্মীয় পর করে দুরের মফস্বলে-
অশ্রুর আলিঙ্গনে থাকো- মুখোমুখি হয়ে সভ্যতার ;
পশ্চাতে রেখে লৌকিক বিবর্তন-ভূমিকা উপসংহার।

মেঘ মায়া কবে বুঝবে শিহরণ,আগমন,প্রত্যাগমন
প্রস্ফুটিত অধিকারের কাছে আবেগের আলোড়ন
ঈশ্বরের কাছে একফোঁটা জলের কদর-
কে বোঝাবে তার সাতকাহন মিশে থাকে পরষ্পর!

গৃহস্থালি

ভালো আছো অলকানন্দা?
পৌষের মাতম তুলে এখনো’কি ধীরপায়ে হাটো!
শৈশব থেকে যেভাবে হাটতে শিখেছো ঋতুচক্র ঘিরে।

রাতের কুয়াশা থেকে ভোরের শিশিরে-
ছুটে যাও বিরতিহীন সময়ের সাইরেন তুলে
অগ্রগামী অশ্বের মত পশ্চাতে রেখে প্রার্থনা ধীরে ধীরে।

সিডরের চিৎকার শুনেছো’কি কান খাড়া করে
বিনীত অধিকারগুলো জমা রেখে খড়ের গাঁদায়
কতজন ভুলেছে গৃহস্থালি অহোরাত্র জুড়ে।

অলকানন্দা -তুমি ভালো আছোতো!
আমার ভালোবাসা ভুলে-এখনো’কি কালো চুলে
বেণি বেধে জোছনায় হাটো- প্রতিনিয়ত।

হেমন্ত সন্ধ্যায়

অবাধ্য জল-
লুটোপুটি খায় চোখের পাতায়;
কি দেব শিরোনাম তার কালের খেরোখাতায়!

আরাধ্য প্রেম-
ত্রিলোকের চোরাকুঠরিতে অবাধে কাঁদতে চায়;
আমি কি বলব তাকে হেমন্তের ঘোর সন্ধ্যায়!

দুরারোগ্য ব্যধি-
বিবিধ উপসংহারে দাঁড়িয়ে থাকে কালের দরজায়;
সরল অঙ্গভঙ্গি দেখে তাকে বোঝা বড় দায়

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *